রবিবার
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতিশোধ পরায়ণ কোনো কথা বলেননি খালেদা জিয়া: ফখর উদ্দিন

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৫ এএম
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু
expand
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু

ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু বলেছেন, আমার নেতা তারেক রহমান, আমার দেশেনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যারা বলেছিল তাকে যমুনা ব্রিজ থেকে ফেলে দেবে, যারা বলেছিল এত বয়স্ক মানুষ এখনো কেন চিকিৎসা করে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। তাদের মুখ থেকে বাংলাদেশের মানুষ কাউকে নিয়ে কটুক্তি করার মতো কোনো কথা তাদের মুখ থেকে এখনো উচ্চারিত হয়নি। প্রতিশোধ পরায়ণ কোনো কথা আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এখনো পর্যন্ত বলেনি।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের বাটাজোর বাজার হাজী আনোয়ার উদ্দিন তালুকদার ওয়াক্ ফ এষ্টেট আয়োজিত বাটাজোর বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।

বাচ্চু বলেন, উপজেলা অফিসের সামনে পাহাড়া বসেয়েছি, আমাদের তিনজন এমপি ছিল, ডা. আমান উল্লাহ সাহেব, কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু সাহেব, এম এ ওয়াহেদ সাহেব, তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান, একজন মেয়র এবং ১১ জন চেয়ারম্যান সবাই ফোন করছে ভাই আমার স্ত্রী-সন্তান বাড়িঘর। আজকে প্রকাশ করতেছি, কারো বাড়িতে ডিল ছুটতে দেইনি।

তিনি বলেন, ৫৪ বছর স্বাধীনতার পরে আজকের দিন পর্যন্ত যারা ভালুকায় রাজনীতি করছে আওয়ামী লীগ, জাসদ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামাত আরও অনেক সংগঠন। তাদের যারা এমপি নির্বাচন করছে, যারা দলের সভাপতি ছিল, তাদের নামে কোনদিন মামলা হইছে কি না। আর আমার একা নামে ৪৪টি মামলা, পাঁচবার গ্রেফতার, ১১ মাস কারাভোগ করেছি এবং দুইবার পা ভেঙেছে। তারপরও নিজের ভেতর থেকে প্রতিশোধ সব ত্যাগ করে দলের নেতা-কর্মীরা যাতে প্রতিশোধ পরায়ণ না হয়। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে ৬ তারিখে ঘোষণা দিয়েছি, কারো বাড়ি-ঘর, ব্যবসা-বাণিজ্য, কারো গায়ে হাত তুলতে পারবে না বিএনপির নেতা-কর্মীরা। যদি কেউ করে থাকে সাথে সাথে ওইগুলি ফেরত দিয়া আসো।

তিনি আরও বলেন, যখন আওয়ামী লীগ বিএনপিকে মারছে তখন বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে বাঁচানোর জন্য যা করার তা করেছি। যখন পুলিশকে মারতে গেছে পুলিশকে বাঁচানোর জন্য যা করার তা করেছি। যখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর বাড়ি-ঘর ভাঙতে চেয়েছে, তখন তাদেরটাও বাঁচানোর জন্য যা করার তা করেছি। কোন হিংসা-বিদ্বেষী রাজনীতি করতে ভালুকায় চেষ্টা করিনি। আমরা যদি সেগুলো করি পরবর্তীতে রূপটা ছড়াবে, আমার জীবদ্দশায় হয়ত আওয়ামী লীগ এসে প্রতিশোধ নিতে পারবে না। কিন্তু এই ঋণ থেকে যাবে, সেই ঋণ ভাই-ভাইস্তা, আমার সন্তান, না হলে পরবর্তী প্রজন্মের ওপর সেই ঋণ থেকে যাবে। তাদেরকে ঋণী করে, তাদের ওপর ঋণের বোঝা দিয়ে যেতে চাই না।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের বাটাজোর বাজার ব্যবসায়ী মো. শামছুল হক।

দোয়া মাহফিলে ভালুকা উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক রুহুল আমিন মাসুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ওসমান গনি মল্লিক মাখন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাখাওয়াত হোসেন পাঠান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হামিদ কারি, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাজমুল হক মন্ডল, হবিরবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খান বাসান, যুবদল নেতা শাহিমুজ্জামান পাঠান সমর, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম তারু ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াদ পাঠান ও স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X