

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কাবাডিতে তারকা খেলোয়াড়দের বিদায়টা সাধারণত বেশ আড়ম্বরপূর্ণ হয়। রবিবার জাতীয় দলের অধিনায়ক রূপালী আক্তারের আনুষ্ঠানিক অবসরের অনুষ্ঠানও তেমনভাবে অনুষ্ঠিত হলো।
৩৪ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় মুকুট পরে বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে রানীর মতো বিদায় নিলেন।
বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বাংলাদেশ-চাইনিজ তাইপে সেমিফাইনাল শুরুর আগে রূপালীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ তাকে ‘হ্যাপি রিটায়ারম্যান্ট’ লেখা উত্তরীয়ও উপহার দিয়েছেন।
রূপালী ২০১২ সালে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম নারী কাবাডি বিশ্বকাপে খেলেছেন এবং ২০০৯ সাল থেকে কাবাডির সঙ্গে যুক্ত। তার আন্তর্জাতিক যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে এশিয়ান জুনিয়র কাবাডি থেকে।
২০১০ সালে ঘরের মাঠে দক্ষিণ এশীয় গেমস খেলেছেন। এরপর ২০১৬ ও ২০১৯ সালের দুই দক্ষিণ এশীয় গেমসেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন জামালপুরের এই খেলোয়াড়।
রূপালী ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের এশিয়ান গেমসেও অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া পর্যায়ে বাংলাদেশ আনসারের হয়ে অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।
এবারের কাবাডি বিশ্বকাপের মাধ্যমে ১৬ বছরের বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটছে, যেখানে শেষ আসরে তিনি দলের অধিনায়কত্বও করেছেন।
অবসরের পর রূপালী বলেন, “ফেডারেশন এবং সতীর্থরা যেভাবে বিদায় দিয়েছে, তাতে আমি ম্যাচের শুরুতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। দীর্ঘদিন কাবাডির সঙ্গে যুক্ত থাকায় এটি স্বাভাবিক।
ক্যারিয়ারের কোনো কিছুতে খারাপ লাগছে না। প্রতিযোগিতামূলক কাবাডি আর খেলব না, তবে কোনো না কোনোভাবে কাবাডির সঙ্গে যুক্ত থাকব। এটি আমার ভালোবাসার জায়গা।”
মন্তব্য করুন
