

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পার্ক দে প্রিন্সে ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট ছিল প্রাণহীন আক্রমণ কম, গোলের দেখা নেই। তবে বিরতির পর যেন পুরো চেহারাই পাল্টে গেল ফ্রান্স দলের। দিদিয়ের দেশঁর শিষ্যরা দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণে চার গোল উপহার দিয়ে পরের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই আসে বড় সুযোগ। বক্সে মিখায়েল ওলিসেকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপ্পে ঠাণ্ডা মাথায় প্যানেনকা শটে বল জালে পাঠান ৫৫ মিনিটে এগিয়ে যায় ফরাসিরা। ট্রুবিন ডানদিকে ঝাঁপ দিলেও শট যায় ঠিক মাঝ দিয়ে।
এপাশে ইউক্রেনও পেতে পারত স্পট কিক। উপামেকানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভিএআরে যাচাই শেষে সিদ্ধান্ত বদলাননি রেফারি স্লাভকো ভিনচিচ। সেই হতাশা কাটানোর আগেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ফ্রান্সের হাতে চলে যায়।
এমবাপ্পে মাঝেমধ্যে সুযোগ নষ্ট করলেও ফরাসি আক্রমণ থামেনি। ৭৬ মিনিটে এন’গোলো কান্তের দারুণ থ্রু বল থেকে ডি-বক্সে পাকিয়ে নেওয়া শটে ওলিসে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৮৩ মিনিটে আবার আলো ছড়ান এমবাপ্পে। জটলার মাঝে ঘুরে দাঁড়িয়ে নরম টাচে বল জালে ঠেলে দেন তিনি। ক্যারিয়ারের ৪০০তম ও জাতীয় দলের হয়ে ৫৫তম গোল জিরুর গোলসংখ্যার রেকর্ড ছোঁয়ার আর মাত্র দুই গোল দূরে এখন পিএসজি তারকা।
ম্যাচের শেষদিকে বড় হৃদয়ের পরিচয়ও দেন এমবাপ্পে। গোল করতে পারতেন নিজেই, কিন্তু বাড়িয়ে দেন হুগো একিতিকের দিকে। একিতিকে নিচ দিয়ে নেওয়া শটে ট্রুবিনের পায়ের ফাঁক গলে বল জালে গিয়ে ফ্রান্সের ৪-০ জয়ে পূর্ণতা আনে।
আধিপত্যপূর্ণ দ্বিতীয়ার্ধ, তারকাদের দুর্দান্ত উপস্থিতি আর ধারাবাহিক গোল সব মিলিয়ে প্রমাণ মিলল, কেন ফ্রান্স বিশ্বকাপের বড় দাবিদার। ইউক্রেনের জন্য হতাশার রাত হলেও ফরাসিদের জন্য ছিল উৎসবের স্বাদ।
মন্তব্য করুন
