

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদ জানিয়েছেন, মাঠপর্যায়ে মানুষের সাড়া দেখে তিনি বুঝতে পারছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জামায়াত ব্যাপক জনসমর্থন পাবে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তার ভাষায়, গত এক মাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তিনি দেখেছেন, প্রায় সবাই জামায়াতকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি মাঠের মানুষের সঙ্গে মিশি। কারও কথার ওপর নির্ভর করি না। মানুষের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করি। সেই জায়গা থেকে বলছি, সাধারণ ভোটার এখন পরিবর্তন চায়।’
মুনতাসির আরও লিখেছেন, রিকশাচালক থেকে শুরু করে বাজারের খুচরা বিক্রেতা, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, বেশিরভাগ মানুষই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অতীত কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ। তাই এবার একটি ইসলামপন্থী দলকে সুযোগ দিতে চায় বলে তাদের অভিমত।
তার মতে, ‘এটা কোনো গল্প বানানো কথা নয়, এটা বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।’
তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে জামায়াতের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
কারণ নির্বাচনের সময় সহিংসতা, কেন্দ্র দখল, পেশিশক্তির ব্যবহার, এসব ঘটতে পারে।
পোস্টে তিনি বিএনপির দুরবস্থার কথাও তোলেন।
তার দাবি, দলের ভেতরের তরুণ নেতৃত্বকে সামনে না আনা এবং অতীতের অনিয়মের কারণে বিএনপি ক্রমশ জনসমর্থন হারাচ্ছে।
তিনি সতর্ক করে দেন, এভাবে চলতে থাকলে বিএনপির অবস্থান আরও খারাপ হবে।
ঢাকা-১২ আসন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ছাত্র উপদেষ্টাদের নির্বাচনী আগ্রহে তিনি উৎসাহিত হয়েছিলেন। তার মতে, ওই আসনে আসিফ বা মাহফুজ প্রার্থী হলে জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
তার মতে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জামায়াত-শিবির সরকার গঠনের দিকে এগোতে পারে।
তবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সংগঠনটি কতটা প্রস্তুত, সে বিষয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন, জনসমর্থনের পাশাপাশি তাদেরকে ভোট সুরক্ষা, অস্থিরতা মোকাবিলা এবং নির্বাচনী কারচুপি ঠেকানোর সক্ষমতাও অর্জন করতে হবে।
শেষে তিনি লিখেছেন, ‘সবশেষে আল্লাহর ওপর ভরসা।’
মন্তব্য করুন
