শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আ.লীগ নেতাকর্মীর স্ত্রীদের ওপর জামায়াতের হক’ ইস্যুতে মির্জা গালিবের কড়া অবস্থান

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৭ পিএম আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৮ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব
expand
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব

সম্প্রতি ‘আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদের স্ত্রীদের ওপর জামায়াতের হক আছে’ শীর্ষক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা পর্যায়ের এক নেতার নামে চালিয়ে দেওয়া এক বক্তব্যকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

বিষয়টিসহ জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে চলমান প্রোপাগান্ডা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।

মির্জা গালিব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সোমবার (২৭ অক্টোবর) প্রকাশিত একটি পোস্টে বলেন, গত ২৬ অক্টোবর এক টকশোতে যে বক্তব্যটি চালানো হয়েছে—‘আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদের স্ত্রীদের ওপর জামায়াতের হক আছে’—সে রকম কোনো মন্তব্য সিরাজগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি করেছেন বলে তিনি প্রমাণ পাননি।

বরং সরাসরি ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঐ নেতার বক্তব্য ছিল সাধারণ ভোটাররাই ৫ আগস্টের পরে জামায়াতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হননি, ফলে তারা তাদের ভোট দিতে পারে—এমন প্রসঙ্গটি তিনি বলেছেন।

ড. গালিব বলেন, যারা অভিযোগ তুলছে তাদের উচিত প্রমাণ উপস্থাপন করা; আর যদি কোনো ব্যক্তি যাচাই-বাছাই না করে সোশ্যাল মিডিয়ার ফটোকার্ড বা ক্লিপ দেখে ভুলভাবে দাবি করে থাকেন—তাহলে তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

একই পোস্টে তিনি আরেকটি উদাহরণ তুলে ধরেন—কীভাবে কোনো বক্তব্যকে ভিন্ন রূপে পরিবেশিত করা হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, টকশোতে বলা হয়েছে যে জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে শিবিরের অস্ত্র দিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় দখল করা যাবে। কিন্তু তিনি নিজে খালেদ মহিউদ্দিনের সঙ্গে একটি টকশোতে শোনা একটি বক্তব্য উল্লেখ করে বলছেন, অথচ মাসুদ ভাই আসলে সেটি অন্যদের কথার কোটেশন হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন—সেই কথাটিই ভিন্ন ছকে চালানো হয়েছে।

মিথ্যা তথা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো নিন্দনীয় বলে ড. গালিব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জায়গা আলাদা, তবু বিরোধী দলকে সমালোচনা করলেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ছড়ানো ঠিক নয়।

এমন প্রক্রিয়ায় যেকোনো সময় কাউকে স্তব্ধ করা সম্ভব—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “যদি মিথ্যা বলেই কাউকে রুখে দেয়া যেত, তাহলে তো একটি দল আজও দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারত।”

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন