

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টিকেও অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যাবে না।
কারণ বিগত দিনে তারা দলটির সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। তাদের কারণেই ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত হয়েছে। এখনও তারা বড় বড় কথা বলছে। খুনিদের পক্ষে সাফাই গাইছে। তাই এ দুটি দলকেই নির্বাচনের বাইরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, যদি এরা আবার ক্ষমতায় আসে, বাংলাদেশকে ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করবে। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত টেবিল আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে -এ বিষয়ে সরকারকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।”
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শাহবাগের শহিদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এনসিপির ঢাকা জেলা ও দুই মহানগর শাখার সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির অনুপস্থিতিতে বিশেষ বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিভিন্ন থানা পর্যায়ের নেতারা সাংগঠনিক সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয় তুলে ধরেন।
আখতার হোসেন বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর জোরালো দাবির পরও সরকার জুলাই সনদে সই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে, কিন্তু এর আইনি কাঠামো এখনো পরিষ্কার করেনি। আমরা বিশ্বাস করি, সেদিন সই করলে সেই সনদের মৃত্যুই ঘটত। তাই দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে টেবিলেই সমাধান চাই, কাগুজে সিদ্ধান্ত নয়। অন্যথায় আমরা আবারও রাজপথে নামব।”
তিনি আরও যোগ করেন, অনেকে শুধু নির্বাচনের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন, কিন্তু আমরা সংস্কারের ধারাকে সামনে এনেছি। আমাদের অবস্থানের কারণেই ঐকমত্য কমিশনকে সংস্কারের পথে যেতে হয়েছে।
এনসিপির এই নেতা অভিযোগ করেন, যদি কোনো একক রাজনৈতিক দলের স্বার্থে নির্বাচনসংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা হয়, তাহলে বুঝতে হবে এর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন বৈঠকের যোগসূত্র আছে। আমরা আর কোনো গোয়েন্দা-নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন দেখতে চাই না।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক মর্যাদা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরা দলবাজির রাজনীতি চাই না, চাই মানুষের কল্যাণে রাজনীতি। তাই ব্যক্তিগত কাজকর্মে দলকে জড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “একজন ইমামকে গুম করা হয়েছে -এ ধরনের ঘটনা আমরা দেখতে চাই না। এনসিপি দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করবে। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাই আমাদের অঙ্গীকার। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে শুধু সংখ্যার জোর নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতেই রাজনীতি পরিচালনা করতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা প্রমুখ।
তবে সভায় দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে নাম ঘোষিত থাকলেও তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি।
মন্তব্য করুন
