

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চলমান নির্বাচনী প্রস্তুতির প্রেক্ষিতে তাদের প্রার্থী তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর অনুযায়ী, দলটি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, মহিলা, অমুসলিম, জুলাই আন্দোলনের অংশীজন এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে।
এর আগে বছরের শুরুতে ৩০০ আসনের জন্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়, যা তখন নির্বাচনী মাঠে চমক সৃষ্টি করে।
সব আসনে একক প্রার্থী থাকা এবং মাঠে সক্রিয় প্রচারণা চালানোর কারণে প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়া, জুলাই আন্দোলনের সনদ, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট, পিআর পদ্ধতি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিসহ ৫ দফা বিষয়ে ৮টি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে সক্রিয় জামায়াত।
শরিক ৮ দলের মধ্যে প্রার্থী ভাগাভাগির বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
তবে দলীয় সূত্র বলছে, আসন বিতরণ এখন বিজয় সম্ভাবনা ও কার্যকারিতার ভিত্তিতে হবে।
জামায়াতের লক্ষ্য—শরিক দলের নেতা ও ইসলামপন্থি নেতাদের সংসদে নেওয়া। পূর্বে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ঘোষণা করেছিলেন, প্রয়োজনে ১০০ আসন শরিকদের জন্য ছাড় দেওয়া হবে।
কিন্তু বর্তমানে দলটি চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করছে যে, যাকে যেখান থেকে জেতানো সম্ভব, সেই প্রার্থীকে দেওয়া হবে আসন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের জানান, শরিকরা এখন আসন ভাগাভাগির পরিবর্তে বিজয় ও ইসলামকে এগিয়ে নেওয়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
এছাড়া, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে চাইছে দলটি।
নতুন সম্ভাব্য প্রার্থীরা: সাবেক ৪ জন বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর মনোনয়ন পেতে পারেন।
সম্প্রতি সমাপ্ত ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ৩ জন ভিপি ও ২ জন জিএসসহ কয়েকজন ছাত্র নেতার নামও তালিকায় যুক্ত হতে পারে।
জুলাই আন্দোলনের নেতাদের জন্য কিছু আসন ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
কুষ্টিয়ার একটি আসনে জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা আমির হামজার মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জুলাই আন্দোলনের পর অমুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যেও দলটি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
ধর্মীয় উপাসনালয় ও সম্পত্তির নিরাপত্তার জন্য জামায়াতকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করছে তারা। এজন্য সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় একজন উপজাতি প্রার্থীও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
এছাড়া, পূর্বে ঘোষিত তালিকায় কোনো মহিলা প্রার্থী ছিলেন না; চূড়ান্ত তালিকায় কিছু উচ্চশিক্ষিত ও সুপরিচিত মহিলা প্রার্থী যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
