

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নির্বাচনকে মাথায় রেখে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে জামায়াত। গত নয় মাসে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের আগমন, দলের আমিরসহ প্রথম সারির একাধিক নেতার একের পর এক বিদেশ সফরের মাধ্যমে এই তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়।
এর মধ্যে গত ৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ১৫ টি দেশের রাষ্ট্রদূত, প্রতিনিধি ও কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।
জামায়াতের এমন নজিরবিহীন কূটনীতিক তৎপরতার কী—এ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশনের এক টকশোতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
ড. মির্জা গালিব বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ যে অবস্থায় আছে সেখানে জামায়াতে ইসলাম প্রস্পেক্টিভ পার্টি হিসেবে মার্জ করেছে।
এর আগের ১৯৯১ সালের নির্বাচনে লক্ষ্য করলে দেখবেন যেখানে জামায়াতে ভোট ছিলো ১২ শতাংশের মত। অর্থাৎ তারা (জামায়াত) বড় দুইটা দলের মধ্যে ছিলো না। তবে এখনকার রাজনীতিতে জামায়াত বড় দুইটা দলের মধ্যে একটা। তারা নির্বাচনে জিতেও যেতে পারে।
কেউ জানে না সামনে কী হবে। তবে বিএনপি অথবা জামায়াত দুটার একটা নির্বাচনে জিততে পারে। এ কারণে জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারে সবার একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
তাই তারা জামায়াতের সঙ্গে কথা বলতে চায়। বুঝতে চায় জামায়াত ইসলাম কীভাবে দেশকে পরিচালনা করবে।
তিনি আরও বলেন, লিভারের রাজনৈতিক দল হলে তাদের প্রতি যতটুকু আস্থা থাকে আন্তর্জাতিক মহলের, ইসলামী রাজনীতির ব্যাপারে তাদের কিছু প্রশ্ন থাকে। জামায়াত যেহেতু ইসলামী রাজনৈতিক দল।
তাই তারা জামায়াতের রাজনৈতিক দর্শন কী সেটা ভালোভাবে বুঝতে চায়।
মন্তব্য করুন
