

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, সমাজের মানসিকতা না বদলালে এই দেশ ভালো মানুষের জন্য বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে।
শনিবার (১ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান তার পোস্টে উল্লেখ করেন, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি–বাংলাদেশের (এআইইউবি) সহকারী অধ্যাপক সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ একজন অত্যন্ত মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষক। তিনি ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো, ইউনিভার্সিটি অব কেন্ট এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের মতো বিশ্বখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কলারশিপে পড়াশোনা করেছেন।
২০১৯ সাল থেকে তিনি এআইইউবিতে শিক্ষকতা করছেন, নিয়মিত ক্লাস নেন এবং গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত আছেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন পত্রিকায় মাঝে মাঝে মতামতধর্মী লেখাও প্রকাশ করেন।
রাশেদ খান বলেন, সাঈদ ইব্রাহিমের সঙ্গে আমার বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে, আলাপচারিতায় বন্ধুত্বও তৈরি হয়েছে। তিনি দেশ ও সমাজ নিয়ে ইতিবাচকভাবে ভাবেন—বিশেষ করে শিক্ষা, খেলাধুলা এবং তরুণ সমাজের উন্নয়ন নিয়ে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আজকের বাস্তবতায় কারও যোগ্যতা থাকলেও যদি তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতার সন্তান হন, সেটাই যেন অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। অথচ আমরা পরিবর্তনের রাজনীতি করতে চাই। নেতার ছেলে হিসেবে জন্ম নেওয়াটা তো তার দোষ নয়।
রাশেদ আরও লিখেছেন, সাঈদ ইব্রাহিম কখনও রাজনীতি বা সামাজিক মাধ্যমে নিজের অবস্থান নিয়ে বাড়াবাড়ি করেননি। বরং তিনি একজন ভদ্র, বিনয়ী ও দায়িত্বশীল মানুষ। তাহলে কি তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে অন্য কোনো নেতিবাচক পথে হাঁটলে সমাজ তাতে সন্তুষ্ট হতো?
তিনি বলেন, এখন ফেসবুক এমন এক জায়গায় পরিণত হয়েছে, যেখানে যাকে খুশি নিয়ে যা ইচ্ছা বলা যায়। অন্ধ অনুসারীরা আবার সেই ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেয়। এটা রাজনৈতিক শালীনতা বা সংস্কৃতির কোনো উন্নত রূপ নয়।
তিনি আরো বলেন, ড. ইউনূস একজন ৮৫ বছরের সম্মানিত মানুষ। তার প্রতি শ্রদ্ধা রাখা যেমন স্বাভাবিক, তেমনি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও আমাদের মূল্যবান স্মৃতি রয়েছে। এই স্মৃতি ও শ্রদ্ধা কোনো একপক্ষীয় আবেগ নয়, বরং একটি প্রজন্মের চিন্তা ও মূল্যবোধের প্রতিফলন।
মন্তব্য করুন
