

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ফখরুল বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় এবং দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্বৈরাচারী শাসনামলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হোক। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে আইসিটি যে রায় দিয়েছে, তাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি আরও যোগ করেন এই রায় গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে নিহত অসংখ্য পরিবারের ক্ষোভ অন্তত কিছুটা প্রশমিত করবে বলে আশা করা যায়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া দণ্ড তার করা অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয় হলেও, এ রায় ভবিষ্যতে যে কেউ ক্ষমতায় থাকুক—কোনো অন্যায়ের বিচার এড়ানো যায় না—সেই বার্তাই দেয়।
তিনি উল্লেখ করেন যে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে তাকেও গুম করে ভারতীয় শহর শিলংয়ে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার বিকেলে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারর নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল–১ এই রায় ঘোষণা করে। অন্যান্য সদস্য ছিলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায় পড়া শেষে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের স্বজন ও আন্দোলনকারীরা আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল উপস্থিত সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজ পরিচালনার জন্য আইসিটি পূর্বে গঠিত হলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। নতুন কাঠামোতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলাটিই প্রথম নিষ্পত্তি হলো।
মন্তব্য করুন
