

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিএনপি ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। তবে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় মিত্রদের মধ্যে অসন্তোষ বেড়েছে।
শীর্ষ নেতৃত্ব বলছেন, কিছু আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা ও সহযোগিতার অভাব জোটের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করছে। ফলে আসন সমঝোতা যত দেরি হবে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত মানানো তত কঠিন হবে।
এই পরিস্থিতিতে, বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি মিত্র রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু করেছে।
বুধবার রাতে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে শরিকরা দ্রুত আসন ঘোষণা এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে না যাওয়ার নিশ্চয়তা চাইবে।
এদিকে, বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। তবে আসন বণ্টন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। জমিয়ত অন্তত ১২টি আসন দাবি করেছে, কিন্তু বিএনপি সর্বোচ্চ ৫টি আসন দিতে রাজি।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জমিয়তের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ইতিমধ্যেই বিএনপির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তালিকায় আছেন আমির উবায়দুল্লাহ ফারুক (সিলেট-৫), মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী (নীলফামারী-১), কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ আলী (সিলেট-৪), জুনায়েদ আল হাবিব (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), মনির হোসেন কাসেমী (নারায়ণগঞ্জ-৪), মোখলেছুর রহমান চৌধুরী (কিশোরগঞ্জ-১), শোয়ায়েব আহমদ (সুনামগঞ্জ-২) ও তালহা ইসলাম (নড়াইল-২)।
জমিয়তের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনা এখনও চলমান এবং বেশ কিছু আসনে দরকষাকষি চলছে। দল চাইছে, অন্তত ১২টি আসনে ছাড় নিশ্চিত না হলে তারা জোটে যাবে না।
জমিয়তের আমির উবায়দুল্লাহ ফারুক জানান, “বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। কিছু আসনে দরকষাকষি চলছে। আমাদের চাহিদামতো আসন না পেলে জোটে না যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।”
মন্তব্য করুন
