

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার ত্যাগের ফলে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় এবং গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে।
এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে তারেক রহমান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া পোস্টে বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব শুধু ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা নয়; এটি দেশের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উত্থানের সূচনা। এই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়।
তারেক রহমান আরও বলেন, স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীনরা স্বার্থসিদ্ধির জন্য দেশের উপর আধিপত্য বজায় রাখতে চেয়েছিল।
তখন একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয় এবং মানুষের ন্যায়সংগত অধিকার হরণ করা হয়। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে বন্দি করে, কিন্তু ৭ নভেম্বর জনতার ঢলে তিনি মুক্ত হন।
এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের পুনর্জীবন ঘটে। মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। তবে আধিপত্যবাদী শক্তির স্থানীয় এজেন্টরা ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে হত্যা করলে, তার আদর্শে এখনও দেশপ্রেমিকরা গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ।
তারেক রহমান বলেন, এরপরও আওয়ামী শাসকরা প্রায় ১৬ বছর গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ণ করেছে, রাষ্ট্রক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ন্যায়নিষ্ঠ নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে দমন করেছে। এজন্য তিনি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনর্নির্মাণ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
