বুধবার
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বুধবার
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির কাছে মিত্র দলগুলো কত আসন চাইছে, যা জানা গেল

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩২ এএম
ফাইল ছবি
expand
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ২৩৭ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি। তবে তালিকায় যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘদিনের মিত্রদের নাম অনুপস্থিত থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, ৬৩টি আসন বিশেষভাবে জোট ও শরিকদের জন্য খালি রাখা হয়েছে।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানান, সব খালি আসনই জোটের জন্য নির্ধারিত নয়। কিছু আসনে একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকার কারণে অমীমাংসিত রয়েছে। তবে শরিকদের জন্য আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিবেচনা করা হবে বলে নেতারা আশ্বাস দিয়েছেন।

নির্বাচন সংক্রান্ত আইন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা এবার ধানের শীষ প্রতীক পাবেন না এবং নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। ফলে চার-পাঁচজন নেতা ছাড়া অন্য শরিকদের জয়ের সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কমে যেতে পারে।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে ৫০টির বেশি দল একসঙ্গে যুক্ত ছিল। এসব দলের প্রার্থীদের এলাকায় অবস্থান ও জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই শেষে তাদের জন্য ২৫ থেকে ৩০টি আসন ছাড়া হতে পারে। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সঙ্গে জোট হলে তাদের জন্য আরো প্রায় ১০টি আসন ছাড়া হতে পারে।

৬৩টি আসন খালি রাখার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির ঘোষিত প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় ৬৩টি আসন খালি রাখা হয়েছে। সেখানে সব আসন যে জোটের জন্য রাখা হয়েছে, বিষয়টি এমন নয়। এখানে কিছু আসনে আমাদের একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। এমন অমীমাংসিত আসনগুলো শিগগির চূড়ান্ত করা হবে।

মিত্রদের আসন ছাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। তাদের কে কোথায় নির্বাচন করবেন, তার আলোচনা চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।

সম্প্রতি ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের কাছে কে কোন আসন থেকে নির্বাচন করতে চান, তা জানতে চায় বিএনপি। এর মধ্যে শরিকরা ২২২টি আসন চেয়ে তালিকা জমা দিয়েছে। তালিকা জমা না দেওয়া গণঅধিকার পরিষদও ২০টি আসন দাবি করেছিল।

তবে বিএনপি এখনো জোটের জন্য কত আসন ছাড়বে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৫-৩০টি আসন পেতে পারে বিএনপির আন্দোলনের শরিকরা।

অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ ছয় নেতা কে কোথায় নির্বাচন করবেন, তা জানতে চেয়েছিল বিএনপি। পরে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে তখন শীর্ষ নেতাদের প্রার্থিতার বিষয়ে বিএনপিকে বিস্তারিত অবহিত করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২ নেতাকে ইতোমধ্যে তাদের নির্বাচনি এলাকায় কাজ করার জন্য বলা হয়েছে।

তারা হলেন- পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা-১৭ আসনে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম এবং কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।

বাকিরা হলেন ঢাকা-১৩ আসনে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক, কুমিল্লা-৭ আসনে দলটির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, নড়াইল-২ আসনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং ঝিনাইদহ-২ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

এনসিপির সঙ্গে জোট হলে প্রায় ১০টি আসন ছাড়তে পারে বিএনপি।

এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১, সদস্য সচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১, দক্ষিণের হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লা-৪, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা-১৮, তাসনিম জারা ঢাকা-৯, সারোয়ার তুষার নরসিংদী-২, হান্নান মাসউদ নোয়াখালী-৬, আদিবুল ইসলাম আদীব ঢাকা-১৪ থেকে নির্বাচন করতে পারেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন