

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা বিভাগের ৩৫টি আসনের মধ্যে ২৬টির প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঘোষিত তালিকায় দেখা গেছে, সাবেক চার সংসদ সদস্যের আসনে এবার তাঁদের সন্তানদেরই প্রার্থী করা হয়েছে। দলের অভ্যন্তরে এ সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক উত্তরাধিকারের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দলের ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন—যশোর-৩ (সদর) আসনে প্রয়াত মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের পুত্র অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ঝিনাইদহ-৩ আসনে চারবারের সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টারের পুত্র মেহেদী হাসান রনি, কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য আহসানুল হক মোল্লার ছেলে রেজা আহাম্মদ বাচ্চু মোল্লা, এবং মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে সাবেক এমপি আহমেদ আলীর ছেলে মাসুদ আহমেদ অরুণ।
যশোর-৩ আসনে মনোনীত অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বর্তমানে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে সাংগঠনিক কাজে তাঁর উপস্থিতি দলের ভেতরে প্রশংসিত। যশোরের রাজনীতিতে যেমন সক্রিয়, তেমনি পুরো খুলনা বিভাগেও দলের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনের প্রার্থী মেহেদী হাসান রনি স্থানীয় পর্যায়ে একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই তিনি মহেশপুর উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে থেকে তৃণমূল সংগঠন পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
অন্যদিকে মেহেরপুর-১ আসনে প্রার্থী মাসুদ আহমেদ অরুণ দীর্ঘদিন ধরে দলের আন্দোলনে সক্রিয় রয়েছেন। বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর মনোনয়নকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা দলের প্রতি অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন।
যশোর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, তরিকুল ইসলাম ছিলেন গণমানুষের নেতা। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ইতিমধ্যেই জেলার রাজনীতিতে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। তাকে ধানের শীষের প্রার্থী করায় আমরা আশাবাদী—যশোরবাসী তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে।
মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় মেহেরপুর-১ আসনের প্রার্থী মাসুদ অরুণ বলেন, এই মনোনয়ন শুধু আমার নয়, এটি আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও সংগ্রামের স্বীকৃতি। আমরা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের চেতনা ধারণ করে জনগণের রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকারে অটল থাকব। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
খুলনা বিভাগের নেতাকর্মীরা বলছেন, তরুণ নেতৃত্বকে সামনে আনার এ সিদ্ধান্তে দলের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতাদের প্রার্থী করা হলে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও প্রাণবন্ত হবে বলেও তাঁরা মনে করছেন।
মন্তব্য করুন
