

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সোমবার ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে।
দলটি প্রাথমিকভাবে আরও ৬৩টি আসন মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ রেখেছে—এর মধ্যে প্রায় ৪০টি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর জন্য সংরক্ষিত থাকবে বলে জানা গেছে।
বাকি ২৩টি আসনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে এ সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপির একাধিক নেতার তথ্যমতে, এবারের প্রার্থী বাছাইয়ে দলটি তিন ধাপের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে। এতে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক ভূমিকা ও নির্বাচনী সক্ষমতা নিয়ে তিন দফায় জরিপ পরিচালনা করা হয়।
জরিপের ফলাফল পর্যালোচনায় যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তাঁরা প্রায় এক মাস ধরে ভার্চুয়াল ও সরাসরি বৈঠকের মাধ্যমে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং একটি প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করেন।
এই প্রক্রিয়ার পর ২৬০টি আসনের একটি খসড়া তালিকা তৈরি হয়। সোমবার বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ওই তালিকা পর্যালোচনা করা হয়। আলোচনার পর ২৩৭টি আসনে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়, আর বাকি ২৩টি আসনের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে আমরা সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছি। এটি দলীয় পর্যায়ে গভীর যাচাই-বাছাইয়ের ফল।”
আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য জানান, “২৩৭টি আসনে ঐকমত্য হয়েছে। বাকি আসনগুলো নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঘোষিত তালিকায় বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম।”
দলীয় নেতাদের মতে, এবারের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় বিএনপি অতীতের তুলনায় আরও কাঠামোবদ্ধ ও গবেষণাভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করেছে—যাতে তৃণমূল পর্যায়ের সক্রিয় ও গ্রহণযোগ্য নেতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে শক্তিশালী প্রার্থী তালিকা গঠন করা যায়।
মন্তব্য করুন
 
                    