

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাননি।
তিনি বলেন, ভারত সরকারকে আহ্বান জানাই—শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিন। কারণ, তাকে দেশের জনগণের মুখোমুখি হতে হবে এবং বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে, মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি, কিন্তু কোনো ধরনের সংঘাত বা অবরোধ কর্মসূচি দিইনি। কিছু দল আন্দোলনের নামে নিজেদের উদ্দেশ্য চাপিয়ে দিতে চায়, যা গণতান্ত্রিক নয়।
তিনি আরও বলেন, একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সেটা কখনোই সম্ভব নয়, কারণ একাত্তরের চেতনার ভেতর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র এখনও ষড়যন্ত্রে সক্রিয়। তারা একসময় মুক্তিযুদ্ধকে ‘গোলমাল’ বলেছিল—জাতি সেটা এখনো ভুলে যায়নি।
গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যদি তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতো, তাহলে আজকের মতো কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারত না। আমাদের ৩১ দফায় রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক সংস্কারের সব বিষয়ই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ আছে। আমরা সংস্কারের পক্ষে, কিন্তু কেউ যদি বলে পিআর ছাড়া নির্বাচন হবে না—তাহলে সেটা জনগণকে বিভ্রান্ত করার শামিল।
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে গণভোটের প্রয়োজন ছিল না, তবুও আমরা অংশ নিতে রাজি হয়েছিলাম। এখন আবার জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি তোলা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। প্রধান উপদেষ্টা হামলার আশঙ্কার কথা বলেছেন, কিন্তু কারা এমন হামলা চালাতে পারে, তা স্পষ্ট করে বলা উচিত ছিল।
মন্তব্য করুন
