

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১১ জনের মৃত্যু এবং শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এর মাত্র এক দিন পর শনিবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার আশুলিয়া, সাভারের বাইপাইল এলাকায় হালকা কম্পন অনুভূত হলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশকে ভূমিকম্পের ঝুঁকির ভিত্তিতে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে: জোন–১, জোন–২, জোন–৩।
এর মধ্যে জোন–৩-এর জেলা গুলোকে তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপ্রবণ হিসেবে ধরা হয়েছে।
কম ঝুঁকিপ্রবণ জেলা: খুলনা, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী।
উচ্চ ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা: সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৯টি জেলা, ঢাকা বিভাগের গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নরসিংদীর কিছু অংশ, কিশোরগঞ্জ জেলা, কুমিল্লার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির নির্দিষ্ট এলাকা
১৯৭৬ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে দেশে অন্তত পাঁচবার বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
অধিকাংশ কম্পনের উৎস ছিল সিলেট, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান এবং কক্সবাজারের আশপাশ।
বিশেষ করে সিলেট–ময়মনসিংহ সীমান্ত অঞ্চলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
রাজউকের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় ২১ লাখ ভবনের মধ্যে ১৫ লাখ দুইতলা বা তার কম উচ্চতার, যা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।
অন্যদিকে, ৪ থেকে ৩০ তলা পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ ভবন উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বড় ভূমিকম্পের সময় এসব ভবনের ধসের সম্ভাবনা বেশি।
মন্তব্য করুন
