

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বরিশাল মহানগর পুলিশের (বিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার ও নরসিংদীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে আনা অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগের তদন্তে অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে সরকার তাকে ‘তিরস্কার’ শাস্তি প্রদান করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়, যেখানে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
সম্প্রতি গঠিত বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে নরসিংদীর পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়নের উদ্দেশে তিনি কথিতভাবে রবিউল মুন্সী নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ লাখ টাকা ঘুস দেন। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এ পদায়ন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি বলে তদন্তে উল্লেখ রয়েছে।
পরবর্তীকালে গত বছরের ৯ নভেম্বর নরসিংদীতে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর তিনি এবং তার অধীনস্ত ডিবি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক এস এম কামরুজ্জামান অনুমতি ছাড়া ঢাকায় গিয়ে মনিপুরীপাড়া এলাকায় রবিউল মুন্সীর অফিস থেকে ৫ লাখ টাকা আদায় করেন। অবশিষ্ট ৪৫ লাখ টাকা ফেরতের জন্য তাদের উপস্থিতিতেই একটি স্বহস্তে লিখিত দলিল গ্রহণ করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক নেছারুল হক খোকনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের সময় পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বদলি সংক্রান্ত বিষয় এবং ব্যক্তিগত কাজে অধস্তন পুলিশ সদস্য ব্যবহারের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক আলোচনা করেন। পরবর্তীকালে কথোপকথনটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির পর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান লিখিত জবাব দাখিল করেন এবং ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন। গত ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শুনানিতে উভয়পক্ষের বক্তব্য, নথিপত্র ও অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
তদন্ত কর্মকর্তা ও শুনানি কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাকে ‘তিরস্কার’ দণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন