

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজধানীতে পরপর কয়েক দফা ভূমিকম্পের পর ভবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
এ পরিস্থিতিতে রাজধানীর রমনায় আইইবি ভবনে রাজউকের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ‘ভূমিকম্প ঝুঁকি কমাতে প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার।
এতে সরকারের উপদেষ্টা, রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা–সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
সেমিনারে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, রাজধানীর ভবনগুলোর ঝুঁকি মূল্যায়ন এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, ‘আর দেরি করলে চলবে না। দ্রুত তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ভবনগুলোর অবস্থা যাচাই শুরু করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, যেখানে ভবন ভাঙা প্রয়োজন—সেখানে নমনীয়তার সুযোগ না রেখে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজনে রাজউককে অতিরিক্ত আইনগত ক্ষমতা দেওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানান, রাজউকের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে দ্রুতই ‘টাউন ইম্প্রুভমেন্ট অ্যাক্ট’ সংশোধন করা হচ্ছে।
রাজউকের উপস্থাপনায় জানানো হয়, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের অধীনে ঢাকার ভূমিকম্পঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমীক্ষা করা হয়েছে।
মধুপুর ফাটলরেখায় শেষ বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ১৮৮৫ সালে (মাত্রা ৭.৫)। এর পর ১৪০ বছর ধরে বড় কোনো কম্পন না হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওই এলাকায় বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।
রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মো. ওয়াহিদ সাদিক সমীক্ষার ফল তুলে ধরে বলেন- মধুপুর ফল্টে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৮ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি ভবন ধসে যেতে পারে।
এটি রাজধানীর মোট ভবনের ৪০ শতাংশেরও বেশি।
সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতি দাঁড়াতে পারে আড়াই হাজার কোটি ডলারের মতো, যা প্রায় তিন লাখ কোটি টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো মেরামত বা পুনর্নির্মাণে প্রয়োজন হতে পারে ৪ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার (প্রায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা)।
বিশেষজ্ঞদের সার্বিক পরামর্শ, ভবন ঝুঁকি মূল্যায়ন দ্রুত শুরু করা, বিধি প্রয়োগে কঠোরতা, জরুরি সেবার সক্ষমতা বাড়ানো, পুরোনো ভবন চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
মন্তব্য করুন
