

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দেশের নেটওয়ার্কে ক্লোন করা, অবৈধভাবে আমদানি ও চোরাচালান হওয়া মোবাইল ফোন বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধ বা ক্লোন করা ফোন ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিশেষ সহকারী বলেন, অবৈধ মোবাইল ফোনের সঙ্গে কম করে হলেও সিমের ভুল রেজিস্ট্রেশন এবং সিম সংক্রান্ত অপরাধ, জুয়ার লিংক এবং এমএলএম প্রতারণার বাল্ক এসএমএস পাঠানো, ভুল এমএফএস রেজিস্ট্রেশন মোবাইল ফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত অপরাধ জড়িত। একই সঙ্গে অনলাইন জুয়া ও স্ক্যামিং, অবৈধ ক্লোন মোবাইল ফোন সংক্রান্ত অপরাধ, প্যাটেন্ট ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন রয়্যাল্টি না দেওয়া, আয়কর ও শুল্ক ফাঁকি, ভারত ও চীন থেকে অবৈধ আনবক্সড মোবাইল ফোন আমদানি, বিমানবন্দরের লাগেজ পার্টি, সীমান্ত চোরাচালান, স্থানীয় হ্যান্ডসেটসহ উৎপাদন শিল্পের বিকাশকে বাধা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। কারণ নাগরিক, সমাজ, অর্থনীতির ও রাষ্ট্রের বহু স্তরের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার নানাবিধ বিষয় জড়িত এখানে। এর জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিডা, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি, ব্যাংকিং খাত, বিএফআইইউ এবং এনবিআর-এর ক্রমাগত অনুরোধ আছে আমাদের উপর। উপরন্তু মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ খাতে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এক বছর আগেই কোটি সংখ্যক মোবাইল ফোন এনে দেশকে অবৈধভাবে ডাম্পিং করে ফেলার সুযোগ আর কাউকে দেওয়া হবে না। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, কোনো মোবাইল ব্যবসায়ী বা দোকানিদের ব্যবসা নষ্ট করা হচ্ছে না, তারা দেশীয় উৎপাদকদের এবং বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোন বিক্রি করবেন, সৎপথে ব্যবসা করবেন।
বিশেষ সহকারী আরও বলেন, বর্তমানে একটি আইএমইআই কোডের বিপরীতে লাখ লাখ মোবাইল ফোন বানিয়ে দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। এনইআইআর চালু হলে যা আর সম্ভব হবে না, এজন্য এনইআইআর বন্ধে মাফিয়া চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। এসব লাগেজ পার্টি, ভুয়া এইচএস কোড, সীমান্ত চোরাচালানি, কেজি দরে আমদানির দিন শেষ করতে এর সঙ্গে জড়িত সব ধরনের ডিজিটাল অপরাধ বিস্তারে লাগাম টানা হবে। এখানে কোনো ছাড় নয়।
ইতোমধ্যে বিটিআরসিতে আলোচনা করা হয়েছে আমদানি শুল্ক কমাতে এনবিআরকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
দ্রুতই এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের আগে অ্যাকটিভ সবগুলো মোবাইল ফোন বৈধ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে। ভারত বা অন্যদেশে এভাবে গণহারে বিদেশি মোবাইল ফোন ঢুকে না। অবৈধভাবে আমদানি করে বা চোরাই মোবাইল ফোন এনে হাইএন্ড মোবাইল ফোনের দাম কমাতে হবে, এটা মানতে রেগুলেটর হিসেবে বিটিআরসি বাধ্য নয়। প্রবাসীরা বাইরে থেকে নিয়ম মেনে একটি বা দুটি মোবাইল ফোন ফ্রি আনবেন, নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রেশন করবেন। কোনো ঝামেলা হবে না। দুটির বেশি মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে এনবিআরের আলাদা নিয়ম রয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন, ডি-রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিগুলো কীভাবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সহজ করা যায়, সে বিষয়ে পাওয়া যৌক্তিক পরামর্শ গুরুত্ব সহকারের আমলে নেওয়া হচ্ছে বলেও বিশেষ সহকারী মন্তব্য করেন।
মন্তব্য করুন