

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, যদি গণহত্যা মামলায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনা ও অপর আসামিদের বিচার না করা হয়, তাহলে জুলাই মাসের শহীদ ও আহতদের ওপর অন্যায়-অবিচার প্রবণতা বেড়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল‑১‑এ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সর্বশেষ দিনের প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক তুলে ধরার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের ভাষ্য, তিনি প্রত্যাশা করেন যে শেখ হাসিনা ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হবেন।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করেছিলাম, শেখ হাসিনা ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হবেন। কারণ তিনি অন্যের উদ্দেশে বলেছিলেন, সাহস থাকলে বিচারের মুখোমুখি হন। কিন্তু তিনি এই কথা মন থেকে বলেননি। বললে আজ দেশের মাটিতে এসে বিচারের মুখোমুখি হতেন।।
তিনি আরও বলেন, এই গ্রুপকে শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে দেশের অসংখ্য মানুষের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে আমাদের ইতিহাসের মুখোমুখি হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভীত ও অনাহুত অবস্থায় পড়বে। আমি শেখ হাসিনা সহ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তিই প্রত্যাশা করছি।
এটি বলার পরে ট্রাইব্যুনালের কক্ষে বলা হয়, ন্যায়বিচার করা হবে—দুই পক্ষই (অভিযুক্ত ও ভিকটিম পক্ষ) যেকোন মূল্যে ন্যায়বিচার পাবে।
বর্তমানে প্রসিকিউশন দল শেনদের (শেখ হাসিনা সহ তিন আবেদিত ব্যক্তির) বিরুদ্ধে সর্বশেষ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছে; এর পরই ট্রাইব্যুনাল রায়ের দিন ধার্য করবেন।
এর আগে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ও চিকিৎসকসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষী ছিলেন। তাদের সাক্ষ্য থেকে উঠে এসেছে—জুলাইয়ের গণহত্যা, নৃশংসতা ও একই সময়ে ক্ষমতাসীন সরকারকালে গুম‑খুন ও নির্যাতনের অভিযোগসমূহ।
বিশেষ করে রাজসাক্ষী হিসেবে পুলিশি আরেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আইজিপি (পূর্বতন) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন নিজের বিবৃতিতে তুলে এনেছেন গণহত্যাকালে ঘটে যাওয়া প্রধান ঘটনাবলি ও নির্দেশকারীদের নাম ও ভূমিকা।
প্রসিকিউশন দল বলছে, এপর্যন্ত উপস্থাপিত সাক্ষ্য ও প্রমাণ‑পত্রগুলো যেকোনো আদালতে যথেষ্ট দাবি প্রতিষ্ঠার পর্যাপ্ত যোগ্যতা রাখে। তারা আদালতকে অনুরোধ জানিয়েছে—এই অপরাধে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক।
মন্তব্য করুন
