

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিয়ে চূড়ান্ত আপিল শুনানি তৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।
এর আগে বুধবার (২২ অক্টোবর) বদিউল আলম মজুমদারের আইনজীবী তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ও ১৪তম জাতীয় নির্বাচনের প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি শেষ করেন।
এইদিনের শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ উল্লেখ করেন, যদি রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসে, তাহলে কি এটি সংসদের ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে?
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী এসময় জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, তবে অন্তর্বর্তী সরকার কি সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হবে এবং আসন্ন নির্বাচনের কার্যক্রমে এর প্রভাব কী হবে—সেগুলো রায়ে স্পষ্ট করতে হবে।
প্রথম দিন: মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর জন্য প্রথম দিনের চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সকালে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে ড. শরীফ ভূঁইয়া শুনানি করেন। এরপর বিএনপি, জামায়াতের আইনজীবী এবং রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি করেন।
দ্বিতীয় দিন: বুধবার শুনানি চলাকালীন রিটকারী পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।
এই আপিলে অংশগ্রহণকারীরা হলেন: ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন। , বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
১৯৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয় ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ ওই রিট খারিজ করে, এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    