

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে নিজের প্রত্যাশা তুলে ধরে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান বলেছেন, দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের আর কখনো ভাড়াটে খুনির কাজে ব্যবহার করা উচিত নয় এবং তারাও যেন না যায়।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। এর আগে আদালত কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ব্যারিস্টার আরমান বলেন, একজন ভুক্তভোগী হিসেবে আমি আশা করি—দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। আমাদের সার্বভৌমত্বের রক্ষক সেনাবাহিনী যেন কোনো শক্তির হাতের পুতুলে পরিণত না হয়। এই বিচারের মধ্য দিয়ে সেই নিশ্চয়তা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, যখন দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা বিদেশে চলে গেছেন, তখন তাদের পাসপোর্ট বাতিল ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। প্রশ্ন হলো—তারা কীভাবে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর থেকে দেশত্যাগ করলেন? এ বিষয়টি তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিশন গঠন জরুরি।
সেনা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও জবাবদিহি প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার আরমান বলেন, যারা সেই সময় দায়িত্বে ছিলেন বা যাদের তত্ত্বাবধানে কর্মকর্তারা দেশ ছেড়েছেন, তাদেরও তদন্তের আওতায় আনা প্রয়োজন। এতে বোঝা যাবে, আমাদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত হাতে আছে।
তিনি আরও যোগ করেন,
“আমার আহ্বান—যাদের বিচার চলছে বা যারা পলাতক, তারা যেন কোনোভাবে এই বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে না পারে। আইন অনুযায়ী সবার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।”
এদিন সকালে জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী শুনানির জন্য গুমের দুটি মামলায় ২০ নভেম্বর এবং রামপুরার ২৮ জন নিহতের মামলায় ৫ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
