

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই প্রিজনভ্যানে করে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচারক প্যানেল আনুষ্ঠানিক অভিযোগের শুনানি শুরু করেন।
তিনটি মামলায় মোট ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। একটি মামলায় ১৭ জন, আরেকটিতে ১৩ জন এবং তৃতীয়টিতে ৪ জনের নাম রয়েছে। এসব মামলার দুটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও আসামির তালিকায় আছে। সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে বর্তমানে ১৫ জন হেফাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সেনা কর্মকর্তাদের হাজিরের দিন ঘিরে কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোর থেকেই হাইকোর্ট মাজারগেট এলাকা ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো এলাকায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
গতকাল মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের হাজিরের দিন আজ নির্ধারিত ছিল। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাদের নাম দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে। হাজির হলে এবং ট্রাইব্যুনাল যদি জেলহাজতের নির্দেশ দেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট কারাগার নির্ধারণ করবে কারা কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে প্রসিকিউশন। গত ৮ অক্টোবর এ অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা হয়। শুনানি শেষে বিচারক প্যানেল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং আজকের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ দেয়।
একই দিনে ‘জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল’ (জেআইসি) বা ‘আয়নাঘর’ নামের গোপন স্থাপনায় গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনা, তারিক রহমানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগপত্রও দাখিল করা হয়। এছাড়া জুলাই-আগস্টের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সবমিলিয়ে তিনটি মামলায় ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা আসামির তালিকায় রয়েছেন। সেনা সদর থেকে জানানো হয়, এর মধ্যে ১৫ জনকে গত ৯ অক্টোবর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগগুলো গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং আজকের মধ্যেই তাদের হাজিরের নির্দেশ প্রদান করে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    