

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চীনে পাচার হয়ে বন্দিদশায় থাকা এক তরুণী মোবাইল ফোনে দেশে ফিরে বাঁচার আর্তি জানিয়েছেন। ছদ্মনাম নীলা নামে পরিচিত ওই তরুণী জানান, নারী পাচারকারী চক্র তাকে প্রতারণার মাধ্যমে চীনে পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি একই পরিস্থিতি থেকে দেশে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছেন হেলেনা (ছদ্মনাম)। তিনি চক্রের কর্মকাণ্ড নিয়ে ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছেন।
হেলেনা জাতীয় এক গণমাধ্যমকে বলেন, আমাকে আরেক বান্ধবীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল। আমি দেশে ফিরতে পারলেও নীলা এখনো আটক রয়েছে। পাচারকারীরা এখন আমাকে ব্যবহার করে আরও তরুণী পাঠাতে চাইছে। আমি চাই না আর কেউ আমার মতো প্রতারিত হোক।
তদন্তে জানা গেছে, একটি শক্তিশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে তরুণী পাচারের সঙ্গে জড়িত। চক্রটির নেতৃত্বে রয়েছেন আব্বাস মোল্লা। তার প্রধান সহযোগী হিসেবে আছেন সিলভী নামের এক নারী। এছাড়া জাহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু, আকাশসহ আরও কয়েকজন সদস্য এই দলে যুক্ত।
চক্রটি মূলত দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের সুন্দরী তরুণীদের টার্গেট করে। তাদের লোভনীয় চাকরির অফার দিয়ে চীনে পাঠানো হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর প্রতিটি তরুণীকে প্রায় ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয় পাচারকারীরা।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, চক্রের প্রভাব এতটাই যে মাত্র ৪ ঘণ্টায় পাসপোর্ট তৈরি করে ফেলে তারা। সাধারণ নিয়মে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট পাওয়া যায় না, কিন্তু তারা ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সব কাজ সম্পন্ন করে ফেলে। ভিসা সাধারণ মানুষকে অপেক্ষা করতে হলেও চক্রের সদস্যরা দিনে দিনেই পেয়ে যায়।
ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সময় সাধারণ যাত্রীদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু পাচারকারীদের পাঠানো তরুণীদের কাউকেই কোনো প্রশ্ন করা হয় না। ধারণা করা হচ্ছে, কর্মকর্তাদেরও প্রভাবিত করছে এই সিন্ডিকেট।
সম্প্রতি শাহ আলী থানায় চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ সুলতান মাহমুদ বলেন, পাচারচক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে। তাদের ধরতে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিটও একসঙ্গে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুতই চক্রকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    