শাহবাগে উত্তেজনা, বিসিএস পরীক্ষার্থী–পুলিশ মুখোমুখি

৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় আন্দোলনকারী পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার সময় মঙ্গলবার বিকেল।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তবে ছাত্ররা সড়কেই অবস্থান নিয়ে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগে দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে মিছিল নিয়ে এগোতে থাকেন পরীক্ষার্থীরা। শাহবাগ মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়। বাধা পেয়ে তারা সেখানেই বসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশি ধাওয়া ও সংঘর্ষে প্রায় ২৫ জন পরীক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুরও আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

ওসি খালেদ মনসুর বলেন, আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে ইট নিক্ষেপ করেছে, এতে তিনিসহ বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরো জানান, আন্দোলনকারীরা এখনো চারুকলার সামনের রাস্তার দিকে অবস্থান করছেন।

লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে পরীক্ষার্থীরা স্মারকলিপি জমা, মানববন্ধন, অনশন, মিছিল ও অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু জায়গায় রেলপথও অবরোধ করা হয়। ঢাকা–আরিচা মহাসড়কেও আন্দোলনকারীরা অবরোধ চালান। তাদের হুঁশিয়ারি—তারিখ পরিবর্তন না হলে পরীক্ষা বর্জন করবেন।

পরীক্ষার্থীরা বলেন, আগের বিসিএসগুলোতে লেখা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় পাওয়া যেত। কিন্তু এবার সময় দেওয়া হয়েছে খুবই কম, যা তাদের মতে অযৌক্তিক। তাই ৪৭তম বিসিএসের তারিখ পুনর্নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছেন তারা।

পিএসসির ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৭ নভেম্বর। ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে আসনবিন্যাসসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পিএসসি।