বুধবার
১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বুধবার
১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেসব কারণে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৭ এএম
ছবি সংগৃহীত
expand
ছবি সংগৃহীত

সন্তান না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেক দম্পতি দুশ্চিন্তায় থাকেন। সমাজে এখনো অনেকেই মনে করেন, বন্ধ্যাত্ব মানেই নারীর সমস্যা। কিন্তু বাস্তবে পুরুষের কারণেও বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, পুরুষের প্রজনন সমস্যা বিভিন্ন শারীরিক, পরিবেশগত ও জীবনযাত্রাজনিত কারণে দেখা দেয়।

যে দম্পতি এক বছর নিয়মিত সহবাসের পরও কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়াই সন্তান ধারণ করতে পারেন না, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় সেটিই বন্ধ্যাত্ব। এই সমস্যা নারী বা পুরুষ দু’জনের যেকোনো একজনের ক্ষেত্রেই হতে পারে, আবার কখনও উভয়ের কারণেও হয়।

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ: পুরুষের প্রজননক্ষমতার মূল উপাদান হলো শুক্রাণু। এটি যদি সঠিকভাবে তৈরি না হয়, সংখ্যা কমে যায়, বা নারীর দেহে পৌঁছাতে না পারে তাহলে গর্ভধারণের সুযোগ কমে যায়। নিচে এর সাধারণ কারণগুলো তুলে ধরা হলো:

১.শুক্রাণু তৈরি না হওয়া বা খুব কম পরিমাণে তৈরি হওয়া ২.শুক্রাণুর গতিশীলতা কমে যাওয়া – অর্থাৎ শুক্রাণু সঠিকভাবে চলাচল করতে না পারা। ৩.শুক্রাণুর গঠনগত ত্রুটি – আকৃতি বিকৃত হলে ডিম্বাণুর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। ৮.সহবাসে শারীরিক অক্ষমতা – শুক্রাণু তৈরি হলেও নারীর দেহে প্রবেশ না করলে নিষিক্তকরণ সম্ভব হয় না।

শুক্রাণু কমে যাওয়ার মূল কারণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুক্রাণু কমে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না। তবে কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে, যেমন:

পরিবেশ দূষণ, অতিরিক্ত গরম পরিবেশে কাজ করা

মোবাইল ও ল্যাপটপের তাপ, কীটনাশক ও রাসায়নিকের সংস্পর্শ

ধূমপান, মদ্যপান ও ভিটামিনের অভাব

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

দীর্ঘমেয়াদি কিছু ওষুধ (যেমন: কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি বা হেপাটাইটিসের ওষুধ)

জন্মগতভাবে শুক্রাণু বহনকারী নালী অনুপস্থিত থাকা বা বন্ধ হয়ে যাওয়া

প্রজনন অঙ্গে সংক্রমণ বা আঘাত, মাম্পসের জটিলতা

অণ্ডকোষ পেটে অবস্থান করলে (ক্রিপ্টোরকিডিজম) শুক্রাণু তৈরি বাধাগ্রস্ত হয়।

চিকিৎসা ও করণীয়

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা সম্ভব তবে তা নির্ভর করে সমস্যার ধরন ও পর্যায়ের ওপর।

জীবনযাপনে পরিবর্তন আনুন:

ধূমপান, অ্যালকোহল ও রাসায়নিক দূষণ থেকে দূরে থাকুন।

কীটনাশকমুক্ত ও পুষ্টিকর খাবার খান।

দীর্ঘ সময় গরম পরিবেশে কাজ করলে ঠাণ্ডা পরিবেশে কিছু সময় কাটান।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

চিকিৎসা পদ্ধতি:

হরমোন ঘাটতি থাকলে হরমোন থেরাপি দেওয়া যায়।

শুক্রাণুর নালী বন্ধ থাকলে অস্ত্রোপচার করা হয়।

প্রয়োজনে আইইউআই, আইভিএফ বা ইকসি পদ্ধতিতে কৃত্রিমভাবে নিষিক্তকরণ করা যায়।

ক্যানসারের চিকিৎসা শুরুর আগে শুক্রাণু সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন