

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মানুষ বিভিন্ন দাবিতে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করে। এর মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও প্রথাগত হলো আমরণ অনশন। এটি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় থেকে প্রচলিত।
অনশনকারীর স্বাভাবিকভাবে ক্ষতি হয় না, তবে দীর্ঘ সময় না খেলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই কর্তৃপক্ষ অনশনকারীর বড় ধরনের অসুস্থতা এড়াতে অনশন ভাঙার আশ্বাস দেয়।
অনশন ভাঙার সময় সাধারণত ডাবের পানি বা ফলের জুস খাওয়ানো হয়। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এ প্রথা সচরাচর দেখা যায়।
পুষ্টিবিদরা বলেন, ক্ষুধা না মেটালে অ্যাসিডিটি, রক্তচাপ কমে যাওয়া এবং পেশি ক্ষয় হতে পারে। শক্তি কমে যায়, ক্লান্তি ও মাথা ঘোরা অনুভূত হয়।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়, মেজাজ খারাপ হতে পারে।
হজমশক্তি সাময়িকভাবে দুর্বল হয়, অ্যাসিড বাড়ে, অন্ত্রের মুভমেন্ট ধীর হয়ে যায়।
দীর্ঘমেয়াদে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রক্তের সুগারের মাত্রা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ডাবের পানির উপকারিতা
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ: ডাবের পানিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি।
ডিটক্সিফিকেশন: শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে।
পাচনতন্ত্রের সুস্থতা: প্রচুর ফাইবার থাকার কারণে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য কমে।
ইউরিনারি স্বাস্থ্য: ডাইউরেটিক উপাদান ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
দীর্ঘ অনশন শরীরের হজমশক্তি দুর্বল করে, অ্যাসিড বাড়ায়। ডাবের পানি খেলে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে, হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই অনশন ভাঙার জন্য ডাবের পানি খাওয়ানো হয়, যা শরীরকে পুনরায় শক্তি ও সুষম অবস্থায় নিয়ে আসে।
মন্তব্য করুন
