

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিয়ের সম্পর্ক একসময় আজীবন প্রতিশ্রুতির প্রতীক হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু আধুনিক যুগে তা অনেকটাই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। আজকাল দাম্পত্য জীবনে সামান্য মতভেদ বা অভিমান থেকেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অনেকে। আবার কেউ কেউ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাইলেও মানসিকভাবে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন—যা ধীরে ধীরে পরিণত হয় পরকীয়ায়।
দাম্পত্য জীবনের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস, সম্মান ও খোলামেলা যোগাযোগ। এই তিনটি উপাদান দুর্বল হয়ে পড়লে সম্পর্কে ঢোকে অবিশ্বাসের ছায়া। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, স্ত্রীর আচরণে কিছু নির্দিষ্ট পরিবর্তন দেখা দিলে তা হতে পারে পরকীয়ার ইঙ্গিত। নিচে এমন তিনটি লক্ষণ তুলে ধরা হলো—
১️আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন
স্ত্রী যদি হঠাৎ করে আগের মতো না থাকেন—যেমন, ফোন ব্যবহার নিয়ে গোপনীয়তা দেখানো, বার্তা লুকানো, আপনার উপস্থিতিতে অস্বস্তি প্রকাশ করা বা কথা বলার ধরনে অস্বাভাবিকতা দেখা দেওয়া—তবে সেটি হতে পারে মানসিকভাবে অন্য কারো প্রতি আগ্রহের ইঙ্গিত।
২️ সময় না দেওয়া ও অযথা ব্যস্ততা দেখানো
অফিসের বাড়তি কাজ, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঘন ঘন সময় কাটানো কিংবা ঘরে থেকেও মানসিকভাবে দূরে থাকা—এসব আচরণ কখনো কখনো নতুন কারো প্রতি টান বা আগ্রহের প্রকাশ হতে পারে।
৩️সাজসজ্জায় অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন
যদি হঠাৎ করে স্ত্রীর পোশাক, সাজগোজ বা ব্যক্তিত্ব প্রকাশের ধরনে অস্বাভাবিক মনোযোগ দেখা যায়, বিশেষ করে যখন আগের তুলনায় অনেক বেশি যত্নবান হয়ে ওঠেন—তবে তাতেও থাকতে পারে অন্য কারো প্রতি আকর্ষণের ইঙ্গিত।
তবে শুধু এসব লক্ষণ দেখে সম্পর্ক নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়। বরং শান্তভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা এবং প্রয়োজনে পারিবারিক বা দাম্পত্য পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
কারণ পরকীয়া হঠাৎ করে সৃষ্টি হয় না—এটি জন্ম নেয় অভিমান, মানসিক দূরত্ব এবং একে অপরকে না বোঝার ফলেই। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাই বোঝাপড়া, ভালোবাসা ও নিয়মিত যোগাযোগের চর্চা।
মন্তব্য করুন
