

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা হতে পারে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর)।
এটি হবে তার বিরুদ্ধে প্রথম কোনো হত্যা মামলার রায় ঘোষণা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গত কয়েক দিন ধরে টানা শুনানি শেষে বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ করেন এবং তাদের খালাস চান।
প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম। অন্যদিকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে যুক্তিতর্কে অংশ নেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল আমরা পাল্টা বক্তব্য দেব এবং এরপর প্রধান প্রসিকিউটর ও অ্যাটর্নি জেনারেল চূড়ান্ত মতামত দেবেন। এরপরই ট্রাইব্যুনাল রায়ের তারিখ ঘোষণা করতে পারে।
ঐতিহাসিক এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন শহীদ আবু সাঈদের পরিবারসহ গণঅভ্যুত্থানের সময় সহিংসতার শিকার বহু মানুষ। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সাংবাদিক ড. মাহমুদুর রহমান স্টার সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। মামলাটিতে মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। এরপর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে রাজসাক্ষী হন এবং পরবর্তীতে সাক্ষ্য দেন।
এ মামলার বাইরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা চলমান-একটি গুম-খুনের অভিযোগে এবং অন্যটি ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের আন্দোলন দমনকালে আওয়ামী লীগ সরকার ও তার সমর্থক গোষ্ঠী মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গৃহীত হয়।
বর্তমানে দুটি পৃথক ট্রাইব্যুনালে এসব অভিযোগের বিচারকাজ চলছে।
মন্তব্য করুন
