

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নিম্ন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক ক্ষমতা আর রাষ্ট্রপতির হাতে থাকবে না—এখন থেকে এই দায়িত্ব পালন করবে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্ট এক রায়ে সংবিধানের ১৫তম ও ৪র্থ সংশোধনীতে থাকা সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিল করেছে।
২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের রায় দেওয়া শুরু হয়।
এ মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছিল গত ১৩ আগস্ট, আর ২৩ এপ্রিল থেকে শুনানি শুরু হয়। এর আগে ২০ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নির্দেশে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করা হয়।
মামলাটি প্রথমে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিল। তবে তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় বেঞ্চ ভেঙে যায় এবং নতুন বেঞ্চ গঠনের আবেদন জানান রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন।
হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছিল— বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না। বর্তমানে প্রচলিত (সংশোধিত) সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অধস্তন আদালতে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ছুটি ও শৃঙ্খলাবিধির ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে থাকে। কিন্তু ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে স্পষ্ট বলা ছিল—এই ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত থাকবে।
ফলে নির্বাহী বিভাগের প্রভাব বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় প্রশ্ন তৈরি করেছিল, যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবী মহলে বিতর্ক চলছিল। আজকের রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ফের সুপ্রিম কোর্টের অধীনে ফিরল।
মন্তব্য করুন
