

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ এ আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর বেলা দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড সংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমান যোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। মমলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রুজু করা হয়। এতে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হত্যার চেষ্টা, বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর জখম করা এবং অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে গত ২০ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) যুক্ত করার নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা কার্যক্রম শেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা হন শরিফ ওসমান হাদি। এ সময় পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে অনুসরণ করে আসা আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার সঙ্গে থাকা এক অজ্ঞাত সহযোগী তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চলন্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
মন্তব্য করুন

