

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশি হয়েও মৌলিক আরবি নাশিদ গেয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন সংগীতশিল্পী মুছলেহ উদ্দিন আকন্দ। সংগীতাঙ্গনে তিনি মুছলেহ নামে বেশি পরিচিত।
ইতোমধ্যেই তার প্রকাশিত ‘ফিদাকা ক্বালবি’ ও ‘ওয়া রাফানা লাকা যিকরাক’ নাশিদ দু’টি ইউটিউবে ২৩ লাখের বেশি দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছে। এছাড়া তার বাংলা নাশিদ ‘রক্তের পরিচয়’ এবং ‘হৃদয়ের গহীনে’ দেশীয় সংগীতাঙ্গনে বিশেষ আলোড়ন তুলেছে।
বর্তমানে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে তার নতুন নাশিদ ‘রাহমান।’ ইয়াসিন রাহহৌ রচিত ও সুরারোপিত এই সংগীতের ভিডিও করা হয়েছে তুরস্কের আয়া সোফিয়াসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে। ভিডিও পরিচালনা করেছেন মরক্কোর খ্যাতনামা নির্মাতা ইসমাইল মালিক।
বাংলাদেশি হয়েও কেন আরবি নাশিদ গাওয়ার কারণ জানতে চাইলে মুছলেহ বলেন, ‘আমি একজন বাংলাদেশি হয়েও আরবি নাশিদকে বেছে নিয়েছি, কারণ এই ভাষার সুরে আমি পাই তাওহিদের কম্পন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার গভীরতা। আরবি শুধু একটি ভাষা নয়, এটা ইসলামের আত্মা। তাই আমার শিল্প, আমার কণ্ঠ ও আমার দোয়া- সবকিছু সেই ভাষার সঙ্গে যুক্ত করতে চেয়েছি, যেটা কোরআন মাজিদ, জিকির ও নাশিদের ভাষা।’
বিদেশে ভিডিও শুটিংয়ের কারণ প্রসেঙ্গ তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশি, আর আমার শিকড় বাংলাদেশের সঙ্গেই গভীরভাবে যুক্ত। তবে একটি নাশিদের ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিংয়ের জন্য এমন সব লোকেশন, দৃশ্য, ল্যান্ডস্কেপ ও নান্দনিকতার প্রয়োজন হয়, যা কখনও কখনও দেশের বাইরে পাওয়া যায়। আমার উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে বাদ দেওয়া নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানের এমন একটি ইসলামিক আর্ট উপস্থাপন করা, যাতে বিশ্ব একজন বাংলাদেশি শিল্পীর কাজকে নতুন চোখে দেখে। গল্পের প্রয়োজন, লোকেশনের আবহ, ঐতিহাসিক ব্যাকগ্রাউন্ড বা নির্দিষ্ট সেটিং বিদেশে মিলে গেলে আমি বাইরে শুট করি। কিন্তু আমার হৃদয়, পরিচয় ও অনুপ্রেরণা- সবই বাংলাদেশ। বিশ্বমানের একটি ইসলামিক আর্ট উপস্থাপনের জন্যই দেশের বাইরে শুট করা।’
নতুন গান ‘রাহমান’-এর বিশেষত্ব বিষয়ে মুছলেহ বলেন, ‘এটি মূলত ফিরতে শেখার গল্প। এটা শুধু একজন মানুষের কাহিনি নয়- এটা আজকের তরুণ সমাজের বাস্তবতা। এখন অনেকেই মনে করে সুখ আসে নেশা, ড্রাগ বা সাময়িক আনন্দ থেকে। আমিও জীবনের একটা সময় ভুল পথে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম অশান্তি আরও বাড়ছে, তখনই আমার ভেতরের আলো আমাকে মসজিদের দিকে ডাকল।’
‘এই প্রজেক্টে দেখাতে চেয়েছি- জীবনে যত ভুলই হোক না কেন, আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া কখনও দেরি নয়। মানুষ যখন অন্ধকারে হারিয়ে যায়, তখন আল্লাহর দরজা আরও বেশি খোলা থাকে। আর প্রকৃত শান্তি নেশায় নয়, আল্লাহর জিকিরে’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘রাহমান’ সেই যাত্রা- যা অন্ধকার থেকে আলোয়, ভুল থেকে তওবায়, আর বিচ্ছিন্নতা থেকে রবের করুণায় ফিরে আসার গল্প।’
মন্তব্য করুন
