দুই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতলেন ফাতিমা

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৭টায় ব্যাংককে শুরু হয় মিস ইউনিভার্স ২০২৫–এর জমকালো গ্র্যান্ড ফাইনাল।

কয়েক ধাপ অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত পাঁচ দেশের সুন্দরীরা পৌঁছান ফাইনালের মঞ্চে, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভেনেজুয়েলা, মেক্সিকো ও আইভরিকোস্ট।

বিচারকদের করা দুটি প্রশ্নের উত্তরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল ভিত্তি হয়।

শেষ পর্যন্ত মেক্সিকোর ফাতিমা ৭৪তম মিস ইউনিভার্সের মুকুট পরে ইতিহাস গড়েন। শুরুতে ১২০ প্রতিযোগীর মধ্য থেকে বাছাই করা ৩০ জনের তালিকায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি তানজিয়া জামান মিথিলাও ছিলেন। তারপর সুইমওয়্যার ও গাউন রাউন্ড পেরিয়ে নির্ধারিত হয় সেরা পাঁচ।

যে দুটি প্রশ্নে অন্যদের ছাড়িয়ে যান ফাতিমা

ফাইনালে প্রতিযোগীদের একটি করে ভিন্ন প্রশ্ন এবং একটি সবার জন্য অভিন্ন প্রশ্ন করা হয়।

যখন একজন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, বাকি চারজনকে হেডফোন পরিয়ে রাখা হয় যাতে তারা কোনো উত্তর শুনতে না পারেন।

প্রথম প্রশ্ন

প্রশ্ন: ২০২৫ সালে নারী হিসেবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো কী এবং মিস ইউনিভার্স খেতাব ব্যবহার করে কীভাবে নারীদের জন্য আরও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবেন?

ফাতিমার উত্তর: নারীরা এখনো নানা বাধার মুখোমুখি হয়। একজন নারী ও মিস ইউনিভার্স হিসেবে আমি আমার কণ্ঠ ও অবস্থানকে অন্যের কল্যাণে কাজে লাগাতে চাই।

পরিবর্তন আনতে হলে আমাদের কথা বলতে হবে, সাহস নিয়ে এগোতে হবে. আমরা সেই শক্তি ও সামর্থ্য রাখি।

দ্বিতীয় প্রশ্ন (কমন): যদি আপনাকে আজ মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত করা হয়, আপনি কীভাবে এই মঞ্চকে তরুণীদের ক্ষমতায়নে ব্যবহার করবেন?

ফাতিমার উত্তর: তরুণীদের বলব, নিজের ভেতরের শক্তিকে বিশ্বাস করো। নিজের স্বপ্নকে মূল্য দাও, নিজের অস্তিত্বকে ছোট করে দেখো না। তুমি মূল্যবান, তুমি সাহসী, আর তোমার কণ্ঠস্বর যথোপযুক্ত জায়গায় পৌঁছানোর অধিকার রাখে।

সংক্ষিপ্ত হলেও এই বক্তব্যই বিচারকদের মনে সবচেয়ে গভীর ছাপ ফেলে এবং তাকে সেরার আসনে বসায়।

ফাইনাল র‍্যাঙ্কিং

চ্যাম্পিয়ন: ফাতিমা বশ (মেক্সিকো), প্রথম রানারআপ: প্রভিনার সিং (থাইল্যান্ড), দ্বিতীয় রানারআপ: স্টেফানি আবাসালি (ভেনেজুয়েলা), চতুর্থ স্থান: আহতিসা মানালো (ফিলিপাইন), পঞ্চম স্থান: অলিভিয়া ইয়াসে (আইভরিকোস্ট)।