

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বলিউডের পর্দায় দীর্ঘ সময় ধরে নিজেকে ধরে রাখা খুব সহজ নয়। জনপ্রিয় অভিনেত্রী শেফালি শাহও তার ব্যতিক্রম নন। ‘মনসুন ওয়েডিং’ ও ‘ওয়াক্ত’-এর মতো সফল ছবিতে দারুণ অভিনয় করেও দীর্ঘ সময় ধরে তিনি প্রাপ্য সুযোগ পাননি- সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
টুইঙ্কল খান্নার ইউটিউব চ্যানেল ‘Tweak India’–তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেফালি বলেন, তাঁর অভিনয়জীবনের শুরুটা ছিল বেশ কঠিন। দীর্ঘদিন কোনো ভালো চরিত্র না পাওয়ায় একসময় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
টুইঙ্কল খান্না সাক্ষাৎকারে জানান, শেফালি তাঁর পুরনো বন্ধু। একসময় তিনি টুইঙ্কলের বাড়ির বাগানে বসে কান্না করছিলেন, কারণ তখন কাজ পাচ্ছিলেন না। মজার ছলে টুইঙ্কল বলেন, আমার ছেলেই পাশের ঝোপে লুকিয়ে সেই মুহূর্ত ভিডিও করেছিল। কারও কাছে ‘সেক্স টেপ’ থাকে, আর ওর আছে ‘কান্নার টেপ’! এ কথায় হাসতে হাসতেই শেফালি বলেন, এখন যদি সেটা প্রকাশ করি, হয়তো জনপ্রিয় হয়ে যাব!
শেফালি জানান, ক্যারিয়ারের শুরুতে তাঁকে প্রায়ই বয়সের তুলনায় বয়স্ক চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে। যেমন, ‘ওয়াক্ত’ ছবিতে অক্ষয় কুমারের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন, অথচ বাস্তবে অক্ষয় তাঁর চেয়ে বয়সে বড়। একইভাবে ‘দিল ধড়কনে দো’-তেও তাঁকে মায়ের ভূমিকায় দেখা যায়।
এরপর তিনি এমন চরিত্র আর না করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর ভাষায়, নীরজা বা কপূর অ্যান্ড সন্স-এর মতো চিত্রনাট্য ভালো লাগলেও ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, কারণ জানতাম এগুলো করলে ক্যারিয়ার সেখানেই থেমে যাবে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়ার হাত ধরে তিনি পান ‘দিল্লি ক্রাইম’ সিরিজের প্রস্তাব। পরিচালক রিচি মেহতার সঙ্গে কথা বলেই তিনি রাজি হয়ে যান।
এই সিরিজই বদলে দেয় তাঁর ক্যারিয়ার। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এই কাজ ২০২০ সালে এমি অ্যাওয়ার্ডে সেরা ড্রামা সিরিজ হিসেবে পুরস্কার অর্জন করে। এরপর থেকেই কাজের প্রস্তাব আসতে থাকে একের পর এক।
শেফালির মতে, ওয়েব সিরিজ বলিউডের অনেক শিল্পীর জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। এখন ভালো কাজের সুযোগও অনেক বেড়েছে।
মন্তব্য করুন
