

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


খ্যাতির তুঙ্গে থাকতেই ব্যক্তিজীবনের টানে সিনেমা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী রতি অগ্নিহোত্রী। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তই তাঁকে ঠেলে দেয় দীর্ঘ তিন দশকের এক দুঃসহ বাস্তবতার দিকে।
১৯৮0–এর দশকে ‘এক দুজে কে লিয়ে’, ‘কুলি’ সহ কয়েকটি ছবির মাধ্যমে বলিউডে তিনি হয়ে ওঠেন পরিচিত মুখ। কিন্তু ১৯৮৫ সালে স্থপতি অনিল বিরওয়ানিকে বিয়ে করার পর গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। বাইরের মানুষ যেটিকে সুখী দাম্পত্য ভাবত, তার আড়ালে লুকিয়ে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জীবন।
এক সাক্ষাৎকারে রতি জানান, বিয়ের শুরুর সময় থেকেই শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। প্রায় ৩০ বছর তিনি এসব সহ্য করেছেন হাসিমুখের আড়ালে, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সম্মান রক্ষার চেষ্টা করে।
কেন থাকতেন? রতি জানান, বিবাহবন্ধনকে তিনি গুরুত্ব দিতে চেয়েছিলেন, আর বিয়ের এক বছরের মধ্যেই জন্ম নেয় তাঁদের ছেলে তনুজ বিরওয়ানি। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি নিজেকে বারবার বুঝিয়েছেন—সময় বদলাবে।
তিনি আরও বলেন, তাঁকে এমন জায়গায় আঘাত করা হতো, যাতে শরীরে দাগ থাকলেও বাইরে থেকে তা ধরা না পড়ে। সবই করা হতো ‘সব ঠিক আছে’ এমন চেহারা দেখাতে।
২০১৫ সালের ৭ মার্চ এক সহিংস ঘটনার পর রতি বুঝে যান, আর নীরব থাকা সম্ভব নয়। তখন তাঁর বয়স ৫৪। তিনি উপলব্ধি করেন, সময়মতো বেরিয়ে না এলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
এক সপ্তাহ পর একাই গিয়ে থানায় অভিযোগ জানান তিনি এটাই ছিল তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ।
মায়ের কষ্টের কথা জানতে পেরে ছেলে তনুজ পাশে দাঁড়ান। ওরলির ফ্ল্যাট ছেড়ে তিনি মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। তিনি চেয়েছিলেন বাবা–মায়ের সম্পর্ক মেরামত করতে, কিন্তু রতি আর সেই বাড়িতে ফেরেননি। নতুন জীবন শুরু করতে তিনি চলে যান নিজের লোনাভালার বাড়িতে।
হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্যমতে, এখন তিনি বেশির ভাগ সময় কাটান পোল্যান্ডে, যেখানে বোন অনিতার সঙ্গে একটি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করেন। অন্যদিকে তনুজ বিরওয়ানি ভারতের বিনোদনজগতে কাজ করছেন নিজের মতো করেই।
মন্তব্য করুন

