

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


টেলিভিশন ও বড় পর্দায় দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্মাতা ও প্রযোজক আদনান আল রাজীবের সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এখন, আট মাস পার করে, মেহজাবীন বলছেন—বিয়ে তার জীবনে কোনো বড় পরিবর্তন আনেনি, বরং জীবনটা আরও সুষ্ঠু, সহজ এবং ভালোবাসায় ভরপুর হয়ে উঠেছে।
দীর্ঘ ১৩ বছরের সম্পর্কের পর বিবাহিত জীবনে পা রাখা এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি আসলে এখনো সেই আগের মেহজাবীনই আছি।
জীবনযাত্রা, কাজ, চলাফেরা—সবই আগের মতোই চলছে। শুধু একটাই পার্থক্য, এখন আমি অন্য এক বাসায় থাকি। আদনান আগে আমার ভালো বন্ধু ছিলেন, এখনো সেই বন্ধুত্বটা আমাদের সম্পর্কের সবচেয়ে শক্ত ভিত।”
তাদের সম্পর্ক নিয়ে কোনো রহস্য ছিল না, বরং মেহজাবীন বিশ্বাস করেন—মজবুত বন্ধুত্ব থেকেই আসে সুখী দাম্পত্যের মূল ভিত্তি।
বিয়ের পরকার দিক তুলে ধরে মেহজাবীন বলেন, “আগে যেকোনো কিছুতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেবল পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করতাম।
এখন পাশে আরও অনেক আপনজন রয়েছে, যারা আমার কাজ, পছন্দ-অপছন্দ—সবকিছুর খেয়াল রাখে। আমার ফ্যামিলি এখন বড় হয়েছে। সবাই আমাকে আগলে রাখে, ভালোবাসে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে। আমি খুবই ভাগ্যবান বোধ করি। এখন প্রতিদিনের ছোট ছোট বিষয়েও আনন্দ খুঁজে পাই।”
বিয়ের পর একসঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেছেন এই দম্পতি। প্যারিস, যাকে বলা হয় প্রেমের শহর, সেখানেই কাটিয়েছেন তাদের হানিমুন। সামাজিক মাধ্যমে সেই ভ্রমণের ছবি শেয়ার করে মেহজাবীন জানান দিয়েছেন, নতুন জীবনকে তিনি কীভাবে উপভোগ করছেন।
বিয়ের পর নাটকে কিছুটা অনুপস্থিত থাকলেও বড় পর্দায় নতুন পরিচয়ে হাজির হয়েছেন মেহজাবীন। মাকসুদ হোসেন পরিচালিত ‘সাবা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মন কেড়েছেন। চলচ্চিত্রটিতে আরও অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনওয়ার, রোকেয়া প্রাচীসহ অনেকে।
গল্পে সাবা একজন সংগ্রামী তরুণী, যার পিতা নিখোঁজ এবং মাতা চলাফেরার অক্ষম। পরিবারের ভার কাঁধে তুলে নিয়ে সাবাকে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় প্রতিদিন।
এছাড়া, মেহজাবীনের প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘প্রিয় মালতী’, যা নির্মিত হয়েছে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে। পরিচালনায় ছিলেন শঙ্খ দাশগুপ্ত। এই সিনেমার মাধ্যমেই চলচ্চিত্র জগতে তার অভিষেক ঘটে।
মেহজাবীনের জীবনযাপন, কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, এবং সম্পর্কের প্রতি আন্তরিকতা—সবমিলিয়ে তিনি বর্তমান সময়ের অন্যতম সফল ও স্বচ্ছন্দ অভিনেত্রীদের একজন। ব্যক্তি জীবন ও পেশাদারিত্বে ভারসাম্য রক্ষা করে তিনি প্রমাণ করেছেন—পরিবর্তন মানেই ভিন্নতা নয়, বরং নতুন পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে আরও ভালোভাবে আবিষ্কার করা।
মন্তব্য করুন
