

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শিক্ষা সনদে নাম, পিতা-মাতার নাম বা জন্মতারিখের ভুল এখন খুবই সাধারণ বিষয়। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই-বাংলাদেশের সব শিক্ষাবোর্ড এখন অনলাইনে এই তথ্যগুলো সহজেই সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছে। ঘরে বসেই এখন দ্রুত ও ঝামেলাহীনভাবে এই সংশোধন সম্পন্ন করা সম্ভব।
প্রথমেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। যেমন-ঢাকা বোর্ডের জন্য dhakaeducationboard.gov.bd, চট্টগ্রাম বোর্ডের জন্য bise-ctg.gov.bd। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও কুমিল্লা বোর্ডের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের নাম গুগলে সার্চ করে তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাবে। এরপর “Online Application” মেনুতে গিয়ে “নাম ও বয়স সংশোধনের আবেদন” অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।
এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN নম্বর ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে-এই তথ্য প্রতিষ্ঠান থেকেই সংগ্রহ করতে হয়। লগইন করার পর অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে হবে। সেখানে পরীক্ষার ধরন (JSC, SSC বা HSC), পাশের বছর, রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ সংশোধনের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-নাম ও জন্মতারিখ একসাথে সংশোধন করা যাবে না, প্রতিটির জন্য আলাদা আবেদন করতে হবে।
ফর্ম পূরণের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে PDF ফরম্যাটে আপলোড করতে হবে। এর মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র, পূর্বের শিক্ষাগত সনদ, নোটারি পাবলিকের এফিডেভিট এবং পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের কপি থাকতে হবে।
এখন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়াও অনলাইনে সম্ভব। বোর্ডের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করা, পত্রিকা নির্বাচন করা এবং অনলাইনে পেমেন্ট সম্পন্ন করা যায়। সফলভাবে সাবমিট করলে বিজ্ঞাপনের PDF কপি ইমেইলে পাঠানো হয়।
সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফি দিতে হবে সোনালী স্লিপ সিস্টেমের মাধ্যমে। ফর্ম পূরণের পর “Sonali Slip” অপশন থেকে পে-স্লিপ ডাউনলোড করে অনলাইনে বা ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।
আবেদন জমা দেওয়ার পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করবে। প্রয়োজনে আবেদনকারীকে ভাইভার জন্য কল বা এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হতে পারে। ভাইবার সময় সব মূল কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। সাধারণত দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, যদিও বোর্ডভেদে সময় কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
আবেদন অনুমোদিত হলে বোর্ড নির্দিষ্ট তারিখে পুরনো সার্টিফিকেট জমা নিয়ে নতুন সংশোধিত সার্টিফিকেট প্রদান করবে।
বাংলাদেশের শিক্ষাবোর্ডগুলোর এই আধুনিক অনলাইন ব্যবস্থা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য সময় ও খরচ বাঁচানোর পাশাপাশি পুরো প্রক্রিয়াটিকে করেছে আরও সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ।
মন্তব্য করুন
