

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সট্রাক্টর ও সাবেক সমন্বয়ক রহমত আলীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী।
রহমত আলী কিক স্কলারশিপ প্রোগ্রামের কোর্স ইন্সট্রাক্টর ছিলেন এবং কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবেও কাজ করতেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই শেষে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) জরুরি বৈঠকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
উপাচার্য জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীর অভিযোগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত পরিচালনা করে। প্রমাণিত হওয়ায় রহমতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিগগিরই নতুন ইন্সট্রাক্টর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১৯ আগস্ট রহমতের কয়েকটি কুরুচিপূর্ণ বার্তার স্ক্রিনশট ফাঁস হয়। সেখানে তিনি এক নারী শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন— ‘তোমার প্রতি আমার প্রবল আকর্ষণ, আই নিড ইউ, আমি সত্যিই তোমাকে কামনা করি, আমার সঙ্গে থাকবে তো?’
ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ওই শিক্ষার্থী ছাড়াও পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থী এবং রংপুরের কয়েকজন তরুণীও রহমতের বিরুদ্ধে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ করেছেন। তারা সাংবাদিকদের হাতে স্ক্রিনশট দেখান। গাইবান্ধার এক শিক্ষার্থী, বর্তমানে ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজে পড়ুয়া, রহমতের সঙ্গে কথোপকথনের স্ক্রিনশট প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, কোর্স ইন্সট্রাক্টর হওয়া সত্ত্বেও রহমত নিয়মিত ক্লাস নিতেন না এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বেশি সময় ব্যয় করতেন। ছাত্র রাসেল বলেন, "স্যার চাইলে ক্লাস নিতেন, নইলে মাসের পর মাস দেখা যেত না।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান বিষয়টি লজ্জাজনক উল্লেখ করে বলেন, "এ ধরনের আচরণের কোনো স্থান বেরোবিতে নেই। হাইকোর্ট অনুমোদিত যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেল রয়েছে। সেখানে অভিযোগ এলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।"
ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই রহমত আলী নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন, এবং অবশেষে তার আসল চেহারা প্রকাশ পেয়েছে।
এই বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও রহমত আলী ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন