

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত সন্দেহে আলোচিত দুই আসামি—‘পাতা সোহেল’ ওরফে মনির হোসেন এবং সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সাভার ও টঙ্গীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪–এর মিডিয়া কর্মকর্তা মেজর মোহাম্মদ আবরার ফয়সাল সাদী।
র্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডে দুইজনের সম্পৃক্ততা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে তুলে ধরবেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম।
গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে মিরপুর ১২ নম্বরের বি-ব্লকে একটি হার্ডওয়্যার দোকানে ঢুকে হেলমেট ও মুখোশ পরা তিনজন সশস্ত্র ব্যক্তি কিবরিয়াকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়—কিবরিয়া দোকানে ঢোকার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্বৃত্তরা এসে হামলা চালায়। তখন দোকানে নয়জন উপস্থিত ছিলেন; গুলি শুরু হতেই সবাই ছুটে বেরিয়ে যান।
কিবরিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে একাধিকবার লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
হামলাকারীরা দোকান থেকে বেরিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠার চেষ্টা করলে চালক আরিফ হোসেন (১৮) দ্রুত গাড়ি না চালানোয় তাকে গুলি করা হয়।
তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুরুতর অবস্থায় কিবরিয়াকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা জনি ভূঁইয়া (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে ধরিয়ে দেন।
পরদিন কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দীনা পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় জনিসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ রয়েছে—সোহেল ওরফে পাতা সোহেল, সোহাগ ওরফে কালু, মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম, রোকন এবং জনি ভূঁইয়া। এছাড়া অজ্ঞাত সাত–আটজনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটি পল্লবী থানা পুলিশ তদন্ত করছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তার দুই আসামির জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পরিকল্পনা, নির্দেশদাতা এবং পেছনের কারণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
