

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার লাঙ্গুলিয়া নদীতে দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়ায় নৌ-যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে, কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং পরিবেশে দেখা দিচ্ছে নেতিবাচক প্রভাব।
উপজেলার কাউলজানি ও মান্দারজানি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কাউলজানি পুরাতন বাজারের কাছে বংশাই নদী থেকে উৎপত্তি হওয়া লাঙ্গুলিয়া নদীর উৎসমুখে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ভাটির দিকে আরও কয়েকটি বাঁধ দিয়ে নদীর বড় একটি অংশ মাছ চাষের জন্য দখল করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই যুগ আগে যাতায়াতের সুবিধার্থে সেতুর পরিবর্তে এখানে বাঁধ তৈরি করা হয়। এরপর থেকেই প্রভাবশালীরা নদী দখল করে মাছ চাষ শুরু করে। সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে এলেও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ আর ফিরেনি। সম্প্রতি আরেকটি নতুন চক্র দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাঁধের কারণে আশপাশের অর্ধশতাধিক গ্রামে কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। বোরো ধান, পাট ও মৌসুমি ফসল চাষ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, দেশীয় মাছের প্রজাতি হ্রাস পাচ্ছে এবং গবাদিপশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে নৌ-পরিবহনও বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, “নদী আমাদের জীবনের অংশ। কিন্তু বছরের পর বছর দখলদাররা বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। এতে কৃষি, মাছ ও পরিবেশ সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. পান্নু মিয়া বলেন, “এই বাঁধের কারণে অনেক গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। সময়মতো পানি না আসায় ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেতু নির্মাণ হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।”
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, “নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা আইনের লঙ্ঘন। অভিযোগ পেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমন্বয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থায়ী সমাধানের জন্য সেখানে সেতু নির্মাণ করতে হবে।”
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    