

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় মূলনা গ্রামে মানুষ ও বন্য বাজপাখির এক বিরল বন্ধুত্বের নজির দেখা গেছে।
স্থানীয় কিশোর রোমান ছৈয়ালের সেবায় সুস্থ হয়ে ওঠার পর থেকে বাজপাখিটি আর বনেই ফেরেনি। এখন সে পরিবারের সদস্যের মতো ঘরে ঘরে ঘোরে এবং বাড়ির হাঁস-মুরগির ছোটছানাদের পাহারা দেয়।
প্রায় দুই বছর আগে অসুস্থ অবস্থায় জমি থেকে বাজপাখিটি উদ্ধার করে রোমান। ভেটেরিনারি হাসপাতালে চিকিৎসা ও নিয়মিত যত্নে সুস্থ হওয়ার পর তাকে বনে ছেড়ে দেওয়া হলেও বারবার ফিরে আসে। রোমান ভালোবেসে তার নাম রাখেন ‘বাহাদুর’। ডাক দিলেই সে এসে বসে, খাবার খেয়ে আবার গাছের ডালে চলে যায়।
প্রথমদিকে পরিবার ও গ্রামবাসী আপত্তি করলেও এখন সবাই বাহাদুরকে আপন করে নিয়েছেন। প্রতিদিন তার খাবারের জন্য মাছ আনা হয়, আবার গ্রামবাসীরাও ভালোবেসে খাবার দেন। এ সময় শিকারি পশুপাখি কিংবা কুকুর বাড়ির ছানাগুলোর ক্ষতি করতে পারে না, কারণ পাহারায় থাকে বাহাদুর।
রোমানের ছোট ভাই সাইম জানান, ভাই বাসায় না থাকলে মা-ছেলেই বাহাদুরকে দেখাশোনা করেন। গ্রামের মানুষও বাহাদুরকে পরিবারের অংশ হিসেবে দেখে।
গ্রামবাসী বলছেন, আগে ছোট হাঁস-মুরগির ছানা প্রায়ই শিকারির কবলে পড়ত। এখন বাহাদুর থাকায় সেগুলো নিরাপদ।
জাজিরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সোহাগ জানান, রোমানের চিকিৎসা ও যত্নে বাজপাখিটি সুস্থ হয়েছিল। বনে ছেড়ে দেওয়ার পরেও ফিরে আসা প্রমাণ করে, ভালোবাসা পেলে মানুষ ও বন্য প্রাণীর মধ্যেও বন্ধুত্ব তৈরি হতে পারে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    