

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শরীয়তপুরে ছাত্রদল ও এনসিপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহতরা হলেন -জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ইসাহাক সরদার, সদস্য শফিকুর রহমান সাগর, আবিদ খান, কর্মী আরমান দরজি, নিরব তালুকদার, রাকিব তালুকদার, হাওলাদার মোহাম্মদ আকাশ, তুলাসার ইউনিয়ন যুদলের সভাপতি মেহেদী হাসান নাঈম বেপারী ও বিএনপির কর্মী মোহাম্মদ আলী এবং জেলা এনসিপির সদস্য সচিব সবুজ তালুকদার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন জেলা ছাত্রদলের কর্মী হাওলাদার মোহাম্মদ আকাশ। এ সময় হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছিলেন জেলা এনসিপির নেতাকর্মীরা। এ সময় মোটরসাইকেল সাইড নেয়া নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলকারীদের সঙ্গে আকাশের বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে আকাশকে মারধর করা হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সংঘর্ষ জড়ায় দুইপক্ষ। এ সময় ককটেলের আঘাতে ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ১০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে তুলাসার ইউনিয়ন যুদলের সভাপতি মেহেদী হাসান নাঈম বেপারী চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে প্রেরণ করেছে চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে পুলিশ।
জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল তালুকদার বলেন, এনসিপির মিছিলে কারা ঢুকেছে জানিনা। কিন্তু ছাত্রদল বলে আমাদের ওপর হামলা চালায় এনসিপি নেতাকর্মীরা। আমাদের নেতাকর্মীদের হামলা চালালে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।
জেলা এনসিপির সদস্য সচিব সবুজ তালুকদার বলেন, আমাদের মিছিলে একটি ছেলে ঢুকে গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। তাকে যেন কেউ কিছু না বলে তাই আমি এক জায়গায় ওকে রাখি। কিছুক্ষণ পর জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে এনসিপি ও ছাত্রদলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। আমরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
মন্তব্য করুন
