বুধবার
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বুধবার
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় ভারসাম্যহীন নারী ধর্ষণ, আটক ৪

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় ভারসাম্যহীন নারী ধর্ষণে আটক ৪
expand
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় ভারসাম্যহীন নারী ধর্ষণে আটক ৪

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় অজ্ঞাত ২০ বছর বয়সী এক ভারসাম্যহীন নারী ধর্ষণের অভিযোগে হাসান (১৮), রাজিব (২০), মোস্তফা হানিফ মিজানুর (২১ ) ও সোহেল শেখ (৩২) নামে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। একজন ট্রাক চালক ও তিন জন চালকের সহকারী বলে জানা যায়।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে তাদেরকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকা থেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ্য করেন স্থানীয়রা।

এদিকে এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া৷

আটককৃতরা হলেন, বগুড়ার সদরের মানিকচরের মিন্টু মিয়ার ছেলে হাসান, একই উপজেলার নামুজা গ্রামের পলাশ প্রামাণিকের ছেলে রাজিব, একই জেলার শিবগঞ্জ থানার ভাগদহ এলাকার ময়েন উদ্দিনের ছেলে মোস্তফা হানিফ মিজানুর ও একই এলাকার চাদিনা দক্ষিণপাড়া এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে সোহেল শেখ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় অজ্ঞাতনামা ওই নারী দীর্ঘ দিন ধরে ভাসমান অবস্থায় ঘোরাফেরা ও রাত্রিযাপন করে আসছিলেন। গতকাল রাতে স্থলবন্দর এলাকায় বগুড়া থেকে আসা আলু ভর্তি ট্রাক নিয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আসেন। সেখানে অবস্থানের সময় গভীর রাতে একটি পরিত্যক্ত দোকান ঘরের সামনে অজ্ঞাত ওই মানুষিক ভারসাম্যহীন নারীকে একজন চালক ও তিন চালকের সহকারী দ্বারা ধর্ষণ করে বলে স্থানীয়রা জানায়।

পরে ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন এবং স্থলবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষীদের (সিকিউরিটি গার্ড) নজরে আসে।তাৎক্ষণিকভাবে তারা বিষয়টি তেঁতুলিয়া মডেল থানাকে অবহিত করলে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নিয়ে যায়৷ এ ঘটনায় থানায় বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের এক গ্রাম পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের করে। পরে তাদের সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদলাতে প্রেরণ করে পুলিশ৷

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া আরও জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়৷ পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়৷ এক গ্রাম পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে এবং পরে আসামীদর আদালত প্রেরণ করা হয়েছে৷

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন