

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্বউত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে শীতের দাপট দিন দিন আরও প্রকট হয়ে উঠছে। ভোরের প্রথম আলো ফোটার আগ থেকেই বইতে থাকা কনকনে হিমেল হাওয়া আর বাতাসে জমে থাকা অতিরিক্ত আর্দ্রতা মানুষকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই দিনের উজ্জ্বল রোদ আর রাতের তীব্র শীতের বড় তাপমাত্রা-পার্থক্য স্থানীয়দের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।
আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। ভোর থেকে কনকনে ঠান্ডা বাতাস বয়েছে এলাকায়, যদিও সকাল গড়াতে আকাশে মিলেছে হালকা রোদের দেখা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল মৌসুমের অন্যতম কম তাপমাত্রা। তারও আগের দিন ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি এবং রোববার রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রার এই ওঠানামা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করেছে।
ময়দানদিঘী এলাকার ব্যবসায়ী মখলেছার রহমান বলেন, ভোরবেলা দোকান খুলতেই হাত-পা জমে আসে। ঠান্ডা হাওয়া সরাসরি লাগে। লোকজনও সকাল সকাল খুব একটা বের হয় না। ব্যবসায়েও প্রভাব পড়ছে।
রিকশাচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভোর থেকে কামাই কমে গেছে। লোকজন ঠান্ডায় বের হয় না। তবুও কাজ তো করতে হবে। তাই মোটা কাপড় রিকশা চালাই।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত নামতে শুরু করেছে। ডিসেম্বরের শুরুতে শীত আরও তীব্র হবে। শৈতপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।
মন্তব্য করুন