

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীর 'জাগলার চর' দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েহাতিয়ায় চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬, কোপা শামছুর মরদেহ উদ্ধার, থানায় মামলা দাঁড়িয়েছে ৬ জনে।
সংঘর্ষের পর নিখোঁজ থাকা শামছু বাহিনীর প্রধান শামছু উদ্দিন ওরফে কোপা শামছুর (৫৮) মরদেহ দুই দিন পর বনের ভেতর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ৩০ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে জাগলার চরের নিয়ন্ত্রণ নিতে স্থানীয় শামছু গ্রুপ এবং আলাউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাঁধে। দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলা এই সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ওই দিনই ঘটনাস্থলে আলাউদ্দিনসহ ৫ জন নিহত হন। সংঘর্ষের পর থেকেই শামছু বাহিনীর প্রধান শামছু উদ্দিন নিখোঁজ ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, বনের ভেতর একজনের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ সেটি উদ্ধার করে। শনাক্তের পর জানা যায়, এটি নিখোঁজ শামছু উদ্দিনের মরদেহ। নিহত শামছু উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। বর্তমানে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত শামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়— নামীয় আসামি ৩০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামি ১০ থেকে ১২ জন।
পুলিশ জানায়, চরের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
