সোমবার
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাতিলরা সোজা হয়ে যাও: শিবির সেক্রেটারি

​নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম
expand
বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অন্যতম নেতা শরিফ ওসমান হাদিকে "গুপ্ত বাহিনী ও নিষিদ্ধ বাহিনী" হামলা করেছে। এই হামলায় হাদি বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

​শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বরে নিহত ৭ শিবিরকর্মীর স্মরণে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

​শিবির সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম তাঁর বক্তব্যে শরিফ ওসমান হাদিকে "জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সেনা নায়ক" এবং "আজীবন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আপোসহীন কণ্ঠস্বর" হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

​সাদ্দাম বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার কয়েক দিন আগেও হাদি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং তাকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।​

"আমরা বারবার তাকে অনুরোধ করতাম হাদি একটু সাবধানে থাকেন, যে কোন সময় বের হইয়েন না। সে বলছে—মওতের ফয়সালা আসমানে হয়। আমি যদি ঘরের ভেতরও থাকি তাও তো মারা যাবো। সুতরাং ঘরের ভেতর থেকে মৃত্যুবরণ করতে নয়, রাজপথে থেকে মৃত্যুবরণ করার জন্য আমার জন্ম হয়েছে।"

শিবির সেক্রেটারি আরও বলেন: ​"আমাদের শাহাদাতের তামান্না আমাদের রক্তের ধমনীতে প্রবাহিত হয়। যারা মনে করো ইসলামী ছাত্রশিবিরকে গুম, খুন, হত্যা, দেশান্তরিত করার মধ্যে দিয়ে নির্বাসিত করতে পারবা—তোমরা দেখে নাও কোম্পানীগঞ্জবাসী, সারা বাংলাদেশ জেনে নাও, আমরা হুশিয়ার করে বলছি তোমাদের বাতিলরা সোজা হয়ে যাও।"

তিনি আরও বলেন, "এক রক্তের বিনিময়ে হাজারো রক্ত জন্ম নেয়" এবং কোরআনের প্রেমে আসক্ত লক্ষ লক্ষ তরুণ ইসলামী আন্দোলনের পথে জীবন দিতে প্রস্তুত।

​আলোচনা সভাটি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের সভাপতি হাফেজ সাইফুর রসুল ফুহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নোয়াখালী জেলা জামায়াতে আমীর ইসহাক খন্দকার, কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক আনিসুর রহমান সহ স্থানীয় জামায়াত ও শিবিরের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

​উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে ৭ শিবিরকর্মী নিহত হন। তারা হলেন: আব্দুস সাত্তার, সাইফুল ইসলাম, মতিউর রহমান সজিব, আব্দুর নুর রাসেল, আব্দুল আজিজ রায়হান, সাইফুল ইসলাম ও মো. মিশু।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X