সোমবার
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে নাগরিক ভাবনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

​নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম
গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
expand
গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে নোয়াখালীতে 'সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ: নাগরিক ভাবনা' শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা শহরের নাইস গেস্ট হাউজ হলরুমে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।

​সুজন-এর নোয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রাছুল মামুনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই গোলটেবিল বৈঠকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৮০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ছিলেন লেখক-গবেষক, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী, তরুণ ভোটার এবং সুজন-এর জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে করণীয় সম্পর্কে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন।

এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ​"জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। একটি নির্বাচন কমিশন (ইসি) যা সত্যিকারের অর্থে স্বাধীন, সেটিই পারে দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ছাড়া অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়। সব পক্ষের সহনশীলতাই এই উত্তরণের প্রধান চাবিকাঠি।

নোয়াখালী সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী মুহাম্মদ রফিক উল্লাহ বলেন, শিক্ষাবিদ হিসেবে আমরা মনে করি, নতুন প্রজন্মের ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।

এছাড়াও জেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর আবুল বাশার বলেন, ​নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানেই দুর্নীতি, সেখানেই সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। নাগরিক সমাজকে এ বিষয়ে সোচ্চার থাকতে হবে।

নারী অধিকারকর্মী নাছিমা মুন্নি তার বক্তব্যে বলেন ​"নারী ভোটারদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো নির্বাচনই পরিপূর্ণ হতে পারে না।"

​এসময় বক্তাগণ মূলত ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা এবং এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত মতামত প্রদান করেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X