

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সৌদি আরবে হজ/উমরাহ পালন করতে গিয়ে চুক্তিভঙ্গ, নিম্নমানের সেবা ও প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের অন্তত ১৯ জন হাজি।
তারা দাবি করেছেন, দেশ থেকে রওনা হওয়ার আগে আকাবা হজ্ব ও উমরা গ্রুপ সৈয়দপুর, নীলফামারী, পরিচালনায়- আলহাজ্ব মো: রুহুল আমিন এজেন্সি যে সুবিধাগুলোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বাস্তবে তার কোনোটিই সঠিকভাবে প্রদান করা হয়নি। ফলে হাজিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী হাজিদের তথ্য অনুযায়ী, প্যাকেজে ৩-স্টার হোটেল, হারাম শরিফ থেকে ৭০০–৮০০ মিটার দূরত্বে আবাসন, নিয়মিত খাবার ও পানির নিশ্চয়তা, অভিজ্ঞ মুয়াল্লিমের সহায়তা এবং সরাসরি (ডিরেক্ট) ফ্লাইটের কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু বাস্তবে এসে তারা পাচ্ছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র।
হাজিদের অভিযোগ, প্রতিশ্রুত ৩-স্টার হোটেলের পরিবর্তে তাদের রাখা হয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের ও সংকীর্ণ কক্ষে, যেখানে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে স্বাভাবিকভাবে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক রুমে পর্যাপ্ত বিছানা বা চলাচলের জায়গাও নেই। পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা অতি খারাপ।
সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, সঙ্গে কোনো মুয়াল্লিম বা গাইড নেই। ফলে কোন সময়ে কী করতে হবে, কোথায় যেতে হবে—এসব বিষয়ে হাজিরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন, যা হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করছে।
চুক্তিতে নিয়মিত খাবার ও নিরাপদ পানির কথা থাকলেও বাস্তবে তা মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন হাজিরা। অনেককে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে, আর পানির জন্য বেশিরভাগ সময় বাইরে নির্ভর করতে হচ্ছে।
চুক্তিতে উল্লেখিত ৭০০–৮০০ মিটার দূরত্বের পরিবর্তে তাদের হোটেলটি হারাম শরিফ থেকে ১৭০০ মিটার দূরে অবস্থিত। দীর্ঘ পথ হেঁটে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে গিয়ে অনেকেই শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।
হাজিরা আরও অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন জিয়ারতস্থল ঘুরিয়ে দেখানোর নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে যা প্যাকেজ বা চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
যাদের সরাসরি ফ্লাইট দেওয়ার কথা ছিল, তাদেরকে দেওয়া হয়েছে ভিন্ন রুটের ফ্লাইট, যা সময়, অর্থ ও মানসিকভাবে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে।
এছাড়াও অনেককে ১৫/২০/২২ দিন বলে ১৩ দিনের উমরাহ প্যাকেজ দেয়া হয়।
এক ভুক্তভোগী বলেন, চুক্তির প্রায় কিছুই আমরা পাইনি। থাকার জায়গা কম, গাইড নেই, পানি নেই, দূরের হোটেলে থাকতে হচ্ছে এজেন্সির আচরণ সরাসরি প্রতারণা।
হাজিরা সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং দ্রুত চুক্তি অনুযায়ী সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। তারা জানান, পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান না হলে ভোক্তা অধিদপ্তর, হজ এজেন্সিজ ( HAAB),বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ও উমরাহ উইং সহ থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে।
মন্তব্য করুন