

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিয়ের প্রস্তুতি চলাকালীন হঠাৎ করেই ঘটলো নাটকীয় পরিস্থিতি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোকাব্বির হোসেনের বিয়ে শুরুর আগেই এক নারী এসে নিজেকে তার স্ত্রী দাবি করে বিয়ে থামিয়ে দেন।
রোববার বিকেলে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের কৈলাটি নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের দিন বর সাজে প্রস্তুত ছিলেন মোকাব্বির। এ সময় গাজীপুরের একটি মাদ্রাসার শিক্ষিকা ওই নারী সেখানে উপস্থিত হয়ে জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতেই তিনি মোকাব্বিরকে গোপনে বিয়ে করেছেন এবং স্বামী–স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেছেন। হঠাৎ করে তার অজান্তে দ্বিতীয় বিয়ের উদ্যোগ নিলে তিনি বাধ্য হয়ে বরপক্ষের বাড়িতে চলে আসেন।
বিয়ের আসরে এভাবে উপস্থিত হয়ে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানান তিনি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মোকাব্বির সরে পড়েন। বরের পরিবারের লোকজনও ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। ওই নারী দরজার সামনে অনশন শুরু করে হুঁশিয়ারি দেন—স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
বরপক্ষের দাবি, এ ঘটনার পেছনে আর্থিক লেনদেনের জটিলতা রয়েছে। তাদের মতে, ৩০ হাজার টাকা প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির কথা থাকলেও টাকা না দেওয়ায় তিনি প্রকাশ্যে আসেন।
অন্যদিকে ওই নারীর নানা আব্দুস ছালাম জানান, বিষয়টি ঘরোভাবেই মীমাংসার কথা ছিল, কিন্তু জনসমক্ষে চলে আসায় আর সমাধান করা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ওই নারীর আগের বিয়ে হয়েছিল ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়; দুই বছর আগে তার বিচ্ছেদ ঘটে। পরে মোকাব্বিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, “এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    